সদর উপজেলার মাহিদিয়া গ্রামের এক বাড়িতে ঢুকে চিহ্নিত চাঁদাবাজ
সন্ত্রাসীরা মূল্যবান জিনিসপত্র ও নগদ ২লাখ টাকা নিয়ে লুটপাট করেছে। এ
ঘটনায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট গোলাম কিবরিয়ার নিদের্শে
কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
সোমবার ১০ জুন দিবাগত গভীর রাত ১১ জুন মামলাটি রের্কড করা হয়। মামলাটি করেন, যশোর সদর উপজেলার মাহিদিয়া
গ্রামের মৃত ফজর গোলদারের ছেলে আব্দুল গফুর। মামলায় আসাসিরা হলো, একই
গ্রামের মৃত আশরাফ আলী গোলদারের ছেলে টিংকু গোলদার, সামসুর গোলদারের
ছেলে পলাশ হোসেন, সহোদর পরাগ হোসেন ও মৃত আশরাফ আলী গোলদারের ছেলে
সান্টু গোলদারসহ অজ্ঞাতনামা জ্জ জন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, আসামীরা পরসম্পদলোভী,দূর্দান্ত পরস্পরই চাঁদাবাজ
সন্ত্রাসী ভূমি দস্যু প্রকৃতির মানুষ। গত ২ জুন ভোর ৬ টায় আসামীগণ বাদির
ভাই হারুণ গোলদারের বাড়িতে মারাত্মক অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রবেশ করে।
বাদির ভাইপোকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আসামীরা বদির ভাইয়ের ঘরের দরজা
ধাক্কা দিয়ে খুলে ফেলে এরপর আসামিরা ঘরের ভেতরে ঢোকে। বাদির ভাই হারুন
গোলদার তাদের বাধা প্রদান করলে টিংকু গোলদার অন্যান্য আসামীদের হুকুম দেয়
যে, হারুণ গোলদারকে খুন করে ফেলে ঘরের মধ্যে যা আছে লুটপাট করে নিয়ে নে।
এ কথা বলার সাথে সাথে টিংকু তার হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে বাদির ভাইয়ের
মাথায় খুন করার উদ্দেশ্যে কোপ মারে। কোপ মাথায় লেগে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। পরাগ
হোসেন বাদির ভাইয়ের হাত ও পায়ে লোহার রড দিয়ে গুরুতর আঘাত করে রক্তাক্ত জখম
করে। আসামীরা দ্রুত আলমারি খুলে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
পলাাশ হোসেন ২লাখ টাকা নিয়ে সকল আসামীরা মালামাল নিয়ে ঘটনাস্থল হতে চলে
যায়। হারুন গোলাদারের অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের কারনে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে বাদি অভিযোগে
উল্লেখ করেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সাথে আলাপ আলোচনা করে বাদি আদালতে
পিটিশন দায়ের করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক পিটিশন ওসি কোতয়ালি থানাকে
মামলা হিসেবে রেকর্ড করতে নির্দেশ দিলে মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়।