গোপালগঞ্জে হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা নিহত, আহত ৩৫

গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানীর গাড়িবহরে হামলায় সংগঠনটির ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার (৪৫) নিহত হয়েছেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই হামলা চালিয়েছেন।

এ সময় অন্তত ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও তার স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলাদলের সভাপতি রওশন আরা রত্নাসহ আরও অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে জেলা শহরের বেদগ্রাম মোড়ে জেলা বিএনপি আয়োজিত পথসভা শেষে এস এম জিলানীর বাড়ি টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে ঘোনাপাড়া মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, তিনজনকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা হাসপাতাল ও চারজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত অন্যান্যদের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নিহত শওকত আলী দিদার ঢাকায় ক্রিকেট আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন বলে জানা গেছে।

সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম লেলিন বলেন, টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে ঘোনাপাড়া মোড়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, তার স্ত্রী রওশন আরা রত্নাসহ অনেকে আহত হয়েছেন।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা শওকত আলী দিদারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীসহ আহত কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রাফিকুজ্জামান বলেন, বেদগ্রাম মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি পথসভা শেষ করে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হন। ঘোনাপাড়ায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দুই থেকে তিনশ নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিতে হামলা করেন। এতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অন্তত ৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হন।