যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল ২ এর বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল আর নেই। আজ বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনি যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি —– রাজেউন। প্রায় এক সপ্তাহ চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। তিনি স্ত্রী, ১ছেলে ১মেয়ে, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানাযায় অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার উন্নতি না হওয়ায় মঙ্গলবার যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউতে নেয়া হয়।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে হাসপাতালে যান পাবলিক প্রসিকিউটর এম ইদ্রিস আলী, অতিরিক্ত পিপি সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বাবু মোর্তোজা ছোট, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী জুলু, সাবেক সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী শরিফ নুর মোহাম্মদ আলী রেজা, কাজী ফরিদুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবু, মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলের নিকট আত্মীয় সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন প্রমুখ। এ সময় তারা শোকসন্তপ্ত পরিবার সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
রাতেই তার মরদেহ শহরের বেজপাড়া গয়ারাম সড়কস্থ নিজ বাড়িতে নেয়া হয়। সেখানে আইনজীবীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও পাড়া-প্রতিবেশী তাকে শেষ দেখা দেখতে যান।
অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে রাজনীতি
তে প্রবেশ করেন। তিনি ১৯৮৬ সালে যশোর সরকারি সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন।
১৯৯৪ সালে যশোর জেলা আইনজীবী সমিতিতে যোগদান করে আইন পেশায় নিয়োজিত হন।
তার মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ফুল কোর্ট রেভারেন্স ও আইনজীবী সমিতির শোকসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।