যশোর আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপিপন্থীদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা

যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। সমিতির ১৩টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সম্পাদকসহ নয়টি পদই তারা দখলে নিয়েছে। যা বারের ইতিহাসে রেকর্ড।

নির্বাচনে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের দুজন ও গণতান্ত্রিক আইনজীবী ফ্রন্টের একজন ও স্বতন্ত্র একজন নির্বাচিত হয়েছেন।

বিপুল ভোটে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আবু মোর্তজা ছোট। তিনি পেয়েছেন ৩৬৫ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের খোন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন মুকুল পেয়েছেন ১৪৩ ভোট। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে হাড্ডহাড্ডি লড়াইয়ে সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম.এ গফুর ২২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এ পদে অপর তিন প্রার্থী জামায়েত সমর্থিত লয়ার্স কাউন্সিলের আ.ক.ম মনিরুল ইসলাম ১১২ ভোট, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের খালেদ হাসান জিউস ৫৬ ভোট ও হাদিউজ্জামান সোহাগ ১২১ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা শেষে নির্বাচন কমিশনার ইসমত হাসার ফলাফল ঘোষণা করেন।

এছাড়া সহসভাপতি পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের গোলাম মোস্তফা ২৯৭ ভোট ও বাংলাদেশ ল’ইয়াস কাউন্সিলের আলমগীর সিদ্দিক ২২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

এ পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আব্দুল লতিফ মোড়ল ১৪৬ ভোট ও বাংলাদেশ ল’ইয়াস কাউন্সিলের মনজুর কাদির আশিক ২১৬ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নুর আলম পান্নু ২৬৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। এ পদে পরাজিত প্রার্থী ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ওয়াজিউর রহমান পেয়েছেন ২১৮ ভোট।

সহকারী সম্পাদক পদে ফোরামের সেলিম রেজা ২৮৭ ও গণতান্ত্রিক আইনজীবী ফন্টের আশরাফুল আলম ২৮৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। এ পদে ফোরামের পরাজিত প্রার্থী বোরহান উদ্দীন সিদ্দিকি পেয়েছেন ২৫৫ ভোট।

গ্রন্থগার সম্পাদক পদে লয়ার্স কাউন্সিলের এসএম শাহারিয়ার হক ২১৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। এছাড়া ফোরামের ইলিয়াস সাদত (শাহাদৎ) ১৩০ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস তপু ১৪৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

সদস্য পাঁচ পদে ফোরামের তরিকুল ইসলাম বাপ্পি ২৯৮, মৌলুদা পারভীন ২৮১, স্বতন্ত্রপ্রার্থী দৌলতুন নেছা ২৭১, ফোরামের মুন্সী মনজুরুল মাহমুদ লিটু ২৫২ , এনামুল আহসান টিটুল ২৩৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এ পদে পরাজিত প্রার্থী মাধবেন্দ্র অধিকারী ১৯৬, শফিকুল ইসলাম ১৫৬, রফিকুল ইসলাম ২০৬, রওশনারা খাতুন রুমা ১৮০ ভোট।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ইসমত হাসার বলেন, আটটি বুথে ৫শ’৩৮ ভোটারের মধ্যে ৫২১ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এছাড়া নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে ছিলেন শহিদুর রহমান, আজিজুল ইসলাম, শাহারিয়ার বাবু ও রবিউল ইসলাম খোকন।