চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিবকে না নেওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন নির্বাচক

আগামী মাসে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন এ টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে আজ দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ঘোষিত সেই দলে রাখা হয়নি এক সময়ের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে।

সাকিবকে দলে না রাখা প্রসঙ্গে রোববার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে যে সমস্যা আছে, সেটা থেকে উত্তরণের জন্য পরীক্ষা দিয়েছিল। ফলাফল নেগেটিভ হওয়ায় এখন শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে পারবে। সিলেকশন প্রক্রিয়ায় ওর অবস্থান ছিল ব্যাটসম্যান হিসেবে। এই দলে টিম কম্বিনেশন সাজাতে গিয়ে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে ১৫ জনের দলে জায়গা দিতে পারিনি।

প্রধান নির্বাচক আরও বলেছেন, ওপেনলি একজন লিজেন্ডারি ক্রিকেটারকে কেন দলে রাখা গেল না- এটা আলোচনা করা ভালো কথা না। এ মুহূর্তে দলে যারা আছেন তারা এগিয়ে আছেন, ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছেন, আস্থা সে কারণেই।

জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক আরও বলেন, একজন ২৫ বছরের তরুণ যতটা সতেজ থাকে ৩৫ বা ৩৭ বছরের খেলোয়াড় ফিটনেসের জায়গায়… সবই বলব না, তবে অনেকের জন্য ধরে রাখা কঠিন হয়। বয়সের সাথে সাথে রিফ্লেক্স কমে, মুভমেন্ট স্লো হয়। কেউ ব্যাটিংয়ে কভার করে দেয়। যে দুটো নাম বললেন সেটাই না, বিভিন্ন নামের ক্ষেত্রেই বিবেচনায় আনতে হয়। শুধু ব্যাটসম্যান না, বোলারদের ক্ষেত্রেও।

সাকিব সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০২৩ সালের নভেম্বরে বিশ্বকাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে। সেই ম্যাচে ৮২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর লম্বা সময় ধরে তিনি ওয়ানডে না খেললেও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমে ব্যাট হাতে ছিলেন সফল। ৬ ম্যাচে ৪৩.৬৬ গড় ও ৯৯.২৪ স্ট্রাইক রেটে তিনি করেন ২৬২ রান।

ওয়ানডেতে দেশের ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সাকিব। ২৭২ ম্যাচে ৩৭.২৯ গড় ও ৮২.৮৪ গড়ে ৭ হাজার ৫৭০ রান করেছেন।

গত ভারত সফরের সময় টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেন সাকিব। তখন ঘোষণা দিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেবেন।