যশোর উপশহরে সাবেক এক সেনা কর্মকর্তার অবৈধ কর্মকান্ডে এলাকাবাসি অতিষ্ঠ, থানায় অভিযোগ

যশোর শহর সংলগ্ন উপশহরে সাবেক এক সেনা কর্মকর্তার অবৈধ কর্মকান্ডে এলাকাবাসি অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ওই সেনা কর্মকর্তার অবৈধ কর্মকান্ডের কারনে এলাকাবাসির নিরাপত্তা বিঘিœতসহ শ্লীলতাহানির ঘটনাও ঘটছে। আবাল বৃদ্ধ বনিতাসহ কেউই ওই সেনা কর্মকর্তাও রোশানল থেকে রেহাই পাচ্ছে না। ওই কর্মকর্তাও বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগসহ সরকারি জমি দখল ও জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা কর্মচারিদের হুমকি দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। ওই সেনা কর্মকর্তার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে এক সাংবাদিক কোতয়ালি থানায় অভিযোগ করেছেন।
১২ এপ্রিল শনিবার কোতয়ালি থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ যশোর জেলা প্রতিনিধি ও অনলাইন পত্রিকা ওয়ান নিউজ বিডির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং প্রেসক্লাব যশোরের যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক জাহিদুল কবীর মিল্টন বলেছেন, আমি পেশাগত কাজে জন্য বাড়ির বাইরে সংবাদ সংগ্রহের জন্য ব্যস্ত থাকি। আমরা যৌথ পরিবার হওয়ায় আমার সন্তান ও আমার ভাইয়ের স্ত্রী কন্যাসহ আমাদের বাড়ির সকল সদস্য একাকী বসবাস করে। আমরা কাজে বাড়ির বাহিরে যাওয়ায় সুবাদে আমার প্রতিবেশী কাজী নূরুল মোহাইমেন লকেট পিতা-মৃত হাজী ওয়াজেদ মোহাম্মদ, ব্লক-ডি, বাসা নং-২০৭/২০৮, উপশহর, যশোর।
মোবাঃ ০১৭১০-৯২৮৮৪৪, খুটিনাটি বিষয় নিয়া আমার ও আমাদের পরিবারের সাথে সবসময় শত্রুতামুলক আচারণসহ আমার বাড়ির দিকে ইচ্ছাকৃত ভাবে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে আমার ও আমাদের পরিবারে নিরাপত্তা বিঘিœত ও গোপনীয়তা লঙ্ঘনসহ ক্ষতিসাধন ও উপদ্রব করার চেষ্টা করছে। যা ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সিসি ক্যামেরা সংক্রান্ত প্রতিবেশীর উপর ব্যবহার প্রসঙ্গে বলা আছে। প্রতিবেশির বাড়ির দিকে যদি সিসি ক্যামেরা কেহ স্থাপন করে, তাতে যদি ওই প্রতিবেশীর গোপনীয়তার ক্ষতি হয়, তাহলে সেটি আইনযোগ্য অপরাধ। বিষয়টির ন্যায় সংগত সমাধানের তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এছাড়াও ওই সাবেক সেনা কর্মকর্তা নুরুল মোহাইমেন লকেটের বিরুদ্ধে রয়েছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সরকারি জমি দখল করে বাড়ি নির্মানের অভিযোগ। তার দুটি বাড়ির জায়গায় বাড়ি না করে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সরকারি প্রায় সাড়ে ১৬ ফিট জায়গা দখল করে বাড়ি করেছেন। সম্প্রতি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ সময় বেধে দেয়।
 আর সময় বেধে দেয়ার কারণে ওই সাবেক সেনা কর্মকর্তা আরো বেশি ক্ষুব্ধ হন। সাবেক সেনা কর্মকর্তা হওয়ার সুবাদে অবৈধ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা কর্মচারিদের হুমকি প্রদান করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই সেনা কর্মকর্তার রোশানল থেকে এলাকার আবাল বৃদ্ধ বনিতাসহ কেউই রেহায় পান না। ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই নুরুল মোহাইমেন লকেট প্রতিবেশি লতিফুন নাহারকে হুমকি দেয়। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে মীমাংসা করে নেয়। লতিফুন নাহারের মতো এলকার অনেককেই হুমকি ধামকি প্রদান করে।
 সাবেক সেনা কর্মকর্তা হওয়ার কারনে অনেকে ভয়ে প্রতিবাদ করে না। আরো অভিযোগ রয়েছে রাতের আধারে ওই সেনা কর্মকর্তার বাড়িতে চলে অনৈতিক কর্মকান্ড। চলে হৈ হুলোড়ের সাথে বিভিন্ন আসর। শহর ও শহরতলি  থেকে বহিরাগতদের এনে এসব হৈ হুল্লোড় ও আসর চালানো হয় বলে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে। ওই সেনা কর্মকর্তা শারীরিক প্রতিবন্দি হওয়ার কারণে একাধিক অপরাধ করার পরও প্রশাসন ও এলাকাবাসির সহানুভুতির কারনে পার পেয়ে যায়। এলাকার সামাজিক পরিবেশ রক্ষা ও এলাকাবাসির নিরাপত্তার স্বার্থে এ বিষয়ে প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।