সাংবাদিক মিল্টনকে হত্যার হুমকির ঘটনায় থানায় জিডি

যশোর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা আওয়ার টাইমের যশোর জেলা প্রতিনিধি জাহিদুল কবীর মিল্টনকে হত্যার হুমকি দেযা হয়েছে। সাংবাদিক মিল্টনের সাথে শত্রুতামুলক আচারণসহ তার বাড়ির দিকে ইচ্ছাকৃত ভাবে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে মিল্টন ও তার পরিবারের নিরাপত্তা বিঘ্নিত ও গোপনীয়তা লঙ্ঘনসহ ক্ষতিসাধন ও উপদ্রব করিবার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে সাংবাদিক মিল্টন কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করলে প্রতিবেশি সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা নুরুল মোইাইমেন লকেট ক্ষুব্ধ হয়। এর জের ধরে তিনি ভাড়া করা সন্ত্রাসি দিয়ে মিল্টনকে প্রান নাশের হুমকি দেয়। এ বিষয়ে মিল্টন কোতয়ালি থানায় ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার জিডি করেন।
জিডিতে তিনি উল্লেখ করা হয়েছে, সাবেক সেনা কর্মকর্তা কাজি নুরুল মোহাইমেন লকেট পিতা মৃত হাজি ওয়াজেদ মোহাম্মদ ব্লক ডি, বাসা নং ২০৭/২০৮ উপশহর কোতয়ালি যশোর। মোবাইল নং ০১৭১০৯২৮৮৪৪। আমার বাড়ি গেটের সামনে ইচ্ছাকৃত ভাবে শত্রুতা মূলক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে। এতে আমার নিরাপত্তা বিঘিœতসহ গোপনয়িতা লংঘন হচ্ছিল। এবিষয়ে আমি ১২ এপ্রিল শনিবার কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করি এবং এ সংক্রান্ত বিষয়ে ১৩ এপ্রিল রোববার অনলাইন ও দৈনিক পত্রিকায় যশোর উপশহরে সাবেক সেনা কর্মকর্তার অবৈধ কর্মকান্ডে এলাকাবাসি অতিস্ঠ থানায় অভিযোগ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে নুরুল মোহাইমেন লকেট ক্ষুব্ধ হয়।
  এর জের ধরে সোমবার ১৪ এপ্রল রাত ৮ টা ৪২ মিনিটে লকেট তার ০১৭১০৯২৮৮৪৪ নম্বর মোবাইল থেকে আমার ছোট ভাই মিরাজুল কবীর টিটোর ০১৭৩২০৩২২৫৫ নাম্বার মোবাইলে ফোন করে প্রছন্ন হুমকি দেয়। টিটোকে লকেট বলে তোর ভাই কাজটা ঠিক করলো। আমার হাতে সেনাবাহিনীর ১০ জন অফিসার আছে। আমি ইচ্ছা করলে অনেক কিছু করতে পারি।
 পরে যেন তোর ভায়ের জন্য সুপারিশ করতে আসবি না। এরপর মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল বিকালে আমি বাড়ি থেকে মোটর সাইকেল যোগে শহরে যাওয়ার পথে ঘোপ সেন্ট্রাল রোড কবর স্থানের সামনে পৌঁছুলে ৩/৪ জনের অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা আমার মোটর সাইকেলে গতি রোধ করে। আমাকে প্রান নাশের হুমকি দেয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা আমাকে বলে মানুষের নামে রিপোর্ট করিস। এরপর রিপোর্ট করলে প্রানে মেরে ফেলা হবে।
 এ সময় ঘটনা দেখে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা দুই মোটর সাইকেল যোগে দ্রুত শহরের দিকে চলে যায়। নুরুল মোহাইমেন লকেটের কেয়ারটেকার নাজমুলে সাথে রয়েছে এলাকার চোর ছিনতাইকারিসহ সন্ত্রাসীদের সখ্যতা। ধারনা করা হচ্ছে নুরুল মোহাইমেন লকেটের ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তার সহযোগিতায়ও এ ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে মিল্টন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।