প্রতারণার মামলায় যশোরের সাবেক পৌর মেয়র পলাশের দেড় বছর কারাদণ্ড

প্রতারণার মামলায় যশোরের সাবেক পৌর মেয়র ও বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশকে দেড় বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের শেষ দিকে হায়দার গণি খান পলাশ যশোর উপশহরের এফ-ব্লকের ৮৩/১ নম্বর বাড়ির ২ দশমিক ৯৩ শতক জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি জানতে পেরে একই এলাকার ১১১ নম্বর বাড়ির আমজাদ হোসেনের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন জমিটি ক্রয়ের আগ্রহ প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে উক্ত জমি বিক্রির জন্য সাড়ে ৪ লাখ টাকা চূড়ান্ত মূল্য নির্ধারিত হয়।
কিন্তু হায়দার গণি খান পলাশ সম্পূর্ণ টাকা গ্রহণের পরও জমি রেজিস্ট্রি না করে কালক্ষেপণ করতে থাকেন।
পরে সুফিয়া খাতুন জমির উপর বাড়ি ও দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়া শুরু করলে, কিছুদিন পর হায়দার গণি খান পলাশ জোরপূর্বক ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে এক সালিশ বৈঠকে তিনি জমির দখল ছাড়বেন না বলে জানিয়ে দেন। বিষয়টির মীমাংসা না হওয়ায় ওই বছরের ২৮ জানুয়ারি সুফিয়া খাতুন আদালতে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিজ্ঞ আদালত হায়দার গণি খান পলাশের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় প্রদান করেন।