সকল রাজনৈতিক দলগুলো যেন নির্বাচনী লক্ষ্য নিয়ে দলীয় কার্যক্রম করতে পারে সেজন্য জাতীয় নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার আহবান জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারন সম্পাদক রাশেদ খাঁন।
শনিবার বিকেলে ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু প্রিয়নাথ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। রাশেদ খাঁন বলেন, নির্বাচনের আগে অবশ্যই গণহত্যার বিচার ও রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে। এনিয়ে যদি কেউ ষড়যন্ত্র করে তাহলে তার দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে বলেও হুশিয়ারিও দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে নির্যাতন, খুন, গুম থাকবে না। আমরা নতুন বাংলাদেশে ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব দেখতে চাই। দেশের মানুষ চাঁদাবাজ, দখলদার, দুর্নীতিবাজদের আর রাজনৈতিক নেতৃত্বে দেখতে চায় না। নির্বাচনের আগে অবশ্যই রাষ্ট্র সংস্কার ও আওয়ামী লীগ ও গণহত্যার বিচার করতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন, দেশে বারবার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। কিন্তু গণমানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। হাজারো শহিদের রক্তের দাগ শুকায়নি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আত্মদানকারীদের অবদান আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আওয়ামী লীগ ফেরার চেষ্টা করছে। তারা যদি ফেরে তাহলে আবারও গণহত্যা চালাবে। জনগণ আওয়ামী লীগকে আর সেই সুযোগ দেবে না। তাই,
রাশেদ খান বলেন, এই সরকারের সুবিধাভোগী কতিপয় রাঘব বোয়ালরা আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন দেশের মানুষ মেনে নেবে না। আওয়ামী দোসরদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কোনো জায়গা দেয়া হবে না।
নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সাম্য মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে। সবাইকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ফ্যাসিবাদের দোসররা যেন কোনো ভাবেই মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে।
নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের বিচার ও মৌলিক রাষ্ট্র সংস্কার শেষে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে বারবার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। কিন্তু গণমানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। হাজারো শহিদের রক্তের দাগ শুকায়নি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আত্মদানকারীদের অবদান আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আওয়ামী লীগ ফেরার চেষ্টা করছে। তারা যদি ফেরে তাহলে আবারও গণহত্যা চালাবে। জনগণ আওয়ামী লীগকে আর সেই সুযোগ দেবে না। তাই, নির্বাচনের আগে রাষ্ট্র সংস্কার ও আওয়ামী লীগের বিচার করতেই হবে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে যত ধোঁয়াশা তৈরি করা হবে, নির্বাচন যত বিলম্ব হবে, ততই দেশে অশান্তি বাড়বে। অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা জাতি মানবে না।
গণসমাবেশে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন কবির, গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি প্রভাষক সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান মিল্টন, জেলা পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি মোঃ রাসেল আহমেদ, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মোঃ রকিবুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন সহ অন্যানরা বক্তব্য রাখেন।
গণঅধিকার পরিষদের হরিণাকুন্ডু উপজেলার আহ্বায়ক আমর বিন মারুফের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন পৌর গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মকলেচুর রহমান (টোকন মিয়া)।
সমাবেশ শেষে রাশেদ খাঁনের নেতৃত্বে উপজেলা শহরে শোভাযাত্রা বের হয়। এতে গণঅধিকার পরিষদের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। এর আগে বেলা সাড়ে চার টার সময় ঝিনাইদহ জেলা শহর থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে হরিণাকুন্ডু উপজেলা শহরে পৌছান রাশেদ খাঁন।