পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত

পহেলগাঁও পর্যটন কেন্দ্রে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় এবার পাকিস্তান থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো দেশটি।

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশি বাণিজ্য নীতিতে একটি নতুন ধারা যুক্ত করেছেন তারা। যেখানে বলা হয়েছে, পাকিস্তান থেকে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে আমদানি বা ট্রানজিট করা কোনো পণ্য, তা অনুমোদনযোগ্য হোক বা না হোক, তা অবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। এই নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

তারা বলছে, এই সিদ্ধান্ত জাতীয় নিরাপত্তা ও জনস্বার্থ রক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে এবং এর কোনো ব্যতিক্রমের ক্ষেত্রে ভারত সরকারের পূর্বানুমোদন বাধ্যতামূলক।

পহেলগাঁও হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একমাত্র বাণিজ্যিক করিডর ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত এরইমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর ভারত পাকিস্তানের জন্য ‘সর্বোচ্চ বাণিজ্যিক সুবিধা’ বাতিল করে এবং পাকিস্তান থেকে আসা পণ্যের ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এরপর থেকেই দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ধস নামে। ২০১৭-১৮ সালে যেখানে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২.৪ বিলিয়ন ডলার সেখানে ২০২৩-২৪ সালে তা নেমে আসে মাত্র ৬৪৭ মিলিয়ন ডলারে।

চলতি অর্থবছর ২০২৪-২৫ (জানুয়ারি পর্যন্ত) পাকিস্তানে ভারতের রপ্তানি ছিল ৪৪৭.৬৫ মিলিয়ন ডলার, অথচ পাকিস্তান থেকে আমদানি মাত্র ০.৪২ মিলিয়ন ডলার— যা ভারতের মোট আমদানির ০.০০০১ শতাংশেরও কম। পাকিস্তান থেকে ভারতের আমদানি মূলত কিছু ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য, ফলমূল ও তেলের বীজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।

কাশ্মীর হামলার জেরে এর আগে ভারত ইন্দাস নদী পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে এবং সব পাকিস্তানি নাগরিকের ভিসা বাতিল করে। তাছাড়া কাশ্মীরে লাইন অফ কন্ট্রোল ও আন্তর্জাতিক সীমান্তে পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত রয়েছে।