কৃষির আধুনিকায়নে ‘খামারি মোবাইল অ্যাপ’ ও ‘ক্রপ জোনিং সিস্টেম’ অপরিহার্য

কৃষিকে আরও আধুনিক ও লাভজনক করতে ‘খামারি মোবাইল অ্যাপ’ এবং ‘ক্রপ জোনিং সিস্টেম’র মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। এই প্রযুক্তিগুলো কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে একদিকে যেমন উৎপাদন বহুগুণ বাড়বে, তেমনি দেশের খাদ্য নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আলমগীর বিশ্বাস।

রোববার (১ জুন) ডিএই যশোর অঞ্চলের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন,বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির কারণেই কৃষি আজ আধুনিকতার ছোঁয়া পাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সবসময় কৃষকদের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) আয়োজিত এই কর্মশালায় ডিএই যশোর অঞ্চলের কর্মকর্তাদের ‘খামারি মোবাইল অ্যাপ’ এবং ‘ক্রপ জোনিং সিস্টেম’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ক্রপ জোনিং প্রকল্প, বিএআরসির সদস্য পরিচালক (শস্য) ও কো-অর্ডিনেটর ড. মো: আবদুছ ছালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএই খামারবাড়ি ঢাকার অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো: জামাল উদ্দীন।

কর্মশালার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্রপ জোনিং প্রকল্পের ক্রপ এক্সপার্ট ড. মো: আজিজ জিলানী চৌধুরী, ক্রপ জোনিং সিস্টেমের ওপর বিস্তারিত উপস্থাপনা করেন ক্রপ জোনিং প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো: আবিদ হোসেন চৌধুরী।

এছাড়া, খামারি মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারের বিস্তারিত তুলে ধরেন ক্রপ জোনিং প্রকল্প পরিচালক (কম্পিউটার ও জিআইএস ইউনিট) হাসান মো. হামিদুর রহমান।

কৃষির আধুনিকায়নে‘খামারি মোবাইল অ্যাপ’ ও ‘ক্রপ জোনিং সিস্টেম’ অপরিহার্য: ডিএই’র অতিরিক্ত পরিচালক আলমগীর বিশ্বাস

কৃষিকে আধুনিক, বিজ্ঞানভিত্তিক ও অধিক ফলনশীল করতে হলে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর উদ্যোগকে গুরুত্ব দিতে হবে। এই বাস্তবতায় ‘খামারি মোবাইল অ্যাপ’ও ‘ক্রপ জোনিং সিস্টেম’ কৃষকের হাতে তুলে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আলমগীর বিশ্বাস। তিনি বলেন,“এই দুটি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।”

রোববার (১ জুন) ডিএই যশোর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) আয়োজিত এই কর্মশালায় ‘ক্রপ জোনিং সিস্টেম’ ও ‘খামারি মোবাইল অ্যাপ’ বিষয়ে ডিএই কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

প্রশিক্ষণে জানানো হয়, ‘ক্রপ জোনিং সিস্টেম’ হচ্ছে একটি আধুনিক কৃষি পরিকল্পনা পদ্ধতি, যার মাধ্যমে মাটি, আবহাওয়া, পানির প্রাপ্যতা এবং স্থানীয় কৃষি বাস্তবতার ওপর ভিত্তি করে কোন অঞ্চলে কোন ফসল চাষ উপযুক্ত হবে তা নির্ধারণ করা যায়। এতে করে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হয় এবং কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হন।

অন্যদিকে,‘খামারি মোবাইল অ্যাপ’একটি স্মার্টফোনভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন যা কৃষকদের সরাসরি কৃষি তথ্য, রোগবালাই ব্যবস্থাপনা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, সারের সুপারিশ,ফসল বীমা ও নিকটবর্তী বাজার মূল্যের তথ্য দেয়। এ অ্যাপ কৃষকদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাস্তব সময়ের সহায়তা প্রদান করে।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিএআরসি’র সদস্য পরিচালক (শস্য) ও ক্রপ জোনিং প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ড. মো. আবদুছ ছালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএই খামারবাড়ি ঢাকার অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো. জামাল উদ্দীন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ক্রপ জোনিং প্রকল্পের ক্রপ এক্সপার্ট ড. মো. আজিজ জিলানী চৌধুরী। ‘ক্রপ জোনিং সিস্টেম’-এর ওপর মূল উপস্থাপনা করেন প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. আবিদ হোসেন চৌধুরী এবং ‘খামারি মোবাইল অ্যাপ’-এর বিস্তারিত তুলে ধরেন কম্পিউটার ও জিআইএস ইউনিটের পরিচালক হাসান মো. হামিদুর রহমান।

আলমগীর বিশ্বাস আরও বলেন,”সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির ফলেই আজ কৃষি খাত ডিজিটাল বাংলাদেশের অংশ হয়ে উঠছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পাশে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশের কৃষিতে টেকসই ও জলবায়ু-সহনশীল চাষাবাদ নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।