বেনাপোল প্রতিনিধি:শার্শার গোড়পাড়া নাইকোর বিলের ৪৫ বিঘা সরকারী খাস জমি জাল দলিলের মাধ্যেমে দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ দখল করে খাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই এলাকার প্রভাবশালী আওয়ামীলীগের সদস্যরা বিগত ১৭ টি বছর যুব সমবায় সমিতি মৎসজীবি সরকারী খাস জমি জোর পুর্বক সাবেক ১৪৪২ নং দাগের জমি ভোগ দখল করে খাওয়ায় ভুমিহীনরা অসহায় ভাবে মানবতার জীবন যাপন করছে। স্বাধীনতার পর থেকে ওই এলাকার যুব সমবায় সমিতির মাধ্যেমে ৩৮ টি পরিবার সেখানে মাছ চাষ করে আসছে। এরপর বিগত আওয়ামী সরকারের ২০০৯ সাল থেকে এলাকার প্রভাবশালীরা জমি নিজেদের দখলে এনে জাল দলিল করে ভোগ দখল করায় ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করেছে।
স্থানীয় ভুক্তভোগি শহিদুল ইসলাম, মতিয়ার রহমান, আব্দুর রহমান বলেন, নাইকোর বিলের গোড়পাড়া মৌজার সাবেক ১৪৪২ নং দাগ বর্তমান ৩৮৫৩,৩৮৫৫, ৩৮৬৫,৩৮৫৭,ও ৩৮৫৬ নং দাগের মোট ১৫ একর অর্থাৎ ৪৫ বিঘা জমি আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী গোড়পাড়া গ্রামের মোকছেদ এর ছেলে মতিয়ার রহমান, নজরুল ইসলাম,আলীমুর এবং আব্দুল ও একই গ্রামের শাহদত এর ছেলে আব্দুস সাত্তার ও আলীম জাল দলিল এর মাধ্যেমে জমি জবর দখল করে নিজেরা সেখানে মাছ ও ধান চাষ করছে। সেখানে সরকার কর্তৃক ভুমিহীনদের মাঝে যে জমি দলিল করে দিয়েছিল সে সব জমি ও তারা জাল দলিলের মাধ্যেমে নিজেরা ভোগ দখল করছে।
সরেজমিনে ওই এলাকায় দেখতে গেলে গ্রামের একাধিক লোক অভিযোগ করেন বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে ওই জমি তারা জাল দলিলের মাধ্যেমে নিজেদের আওতায় এনে ভুমিহীন এবং সমবায় এর মাধ্যেমে যারা ভোগ দখল করত তাদের তাড়িয়ে দেয় লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে।
এদিকে ভোগ দখলকারী পরিবার এর সদস্য মতিয়ার রহমান বলেন, আমরা ৮০’র দশকে গোড়পাড়া গ্রামের কেরামত লক্ষনপুর গ্রামের মিজানুর রহমান আব্দুল ও রয়েশ চন্দ্র নিকট থেকে মোট ১৮ বিঘা জমি ক্রয় করি। এসব জমির খাজনা আমরা দিয়ে আসছি। তাহলে ভোগ দখল কেন ২০০৯ সালে গেলেন এতদিন জমি ক্রয় করে ফেলে রেখেছেন কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন কিছু আইনি প্রক্রিয়ার কারনে আমরা ওই জমি দেরিতে দখল করি।
গোড়পাড়া গ্রামের শাহদত এর ছেলে আব্দুর সাত্তার আব্দুল আলিম, আব্দুল হাই ১১ বিঘা জমি ক্রয় করেছে। যা নিয়েও অনেক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। সরকার যে সকল জমি ভুমিহীন পরিবারদের দলিল করে দিয়েছিল ওই জমিও বিভিন্ন কৌশলে এরা তিন ভাই সু-কৌশলে জাল দলিলের মাধ্যেমে নিজেদের দখলে নেয়। এবং ২০২৬ সাল পর্যন্ত ওই সকল জমির খাজনা কাটে বলে সাত্তার গং জানান।
এ বিষয় ওই ইউনিয়ন এর ভুমি অফিসে গেলে নায়েব আবুল খায়ের জানায় এসব জমি এক হাত থেকে অন্যহাতে বার বার বদল হয়েছে। সরকার যে সব জমি ভুমিহীনদের মাঝে দলিল মারফত দিয়েছিল তারাও কিছু কিছু বিক্রি করে গেছে। তবে তা জাল দলিল কি না তা তিনি জানেন না। তবে আব্দুল ছাত্তারের জমিতে ”ক’ চিহিৃত লাল দাগ রয়েছে । এটা সরকারের নিশেধাজ্ঞা রয়েছে। এটা আমরা দ্রুত জরিপ করে দাল পতাকা উত্তোলন করব।