যশোর-৩ আসনে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ দক্ষিণাঞ্চলে প্রার্থী চূড়ান্ত করছে বিএনপি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী চূড়ান্ত করছে বিএনপি। ইতোমধ্যে দলটি দুই শতাধিক আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সবুজ সংকেত দিয়েছে। সমমনা দল ও জোটকে আসন ছাড় দেওয়ার পর বাকি আসনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

দলের সূত্র জানায়, উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাঠ জরিপের ফলাফল, দলের নীতিনির্ধারণী নেতাদের মতামত এবং তৃণমূলের জনপ্রিয়তার নিরিখে প্রার্থী তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে বিশেষভাবে আলোচনায় আছে যশোর-৩ আসন। এখানে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে প্রার্থী হিসেবে মাঠে নামতে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি এলাকায় ইতোমধ্যে নির্বাচনী কাজ শুরু করেছেন।

এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে শামসুজ্জামান দুদু, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে মাহমুদ হাসান খান এবং ঝিনাইদহ-৪ আসনে সাইফুল ইসলাম ফিরোজকে প্রার্থিতার কথা জানানো হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত একজন দলের সবুজ সংকেত পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।

দক্ষিণাঞ্চলের আরও কিছু আসনে প্রার্থিতা প্রায় নিশ্চিত হয়েছে। খুলনা-৩ আসনে রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা-৪ আসনে আজিজুল বারী হেলাল, পটুয়াখালী-৪ আসনে এবিএম মোশারফ হোসেন, ভোলা-২ আসনে হাফিজ ইব্রাহীম, ভোলা-৩ আসনে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, ভোলা-৪ আসনে নুরুল ইসলাম নয়ন, বরিশাল-১ আসনে জহির উদ্দিন স্বপন, বরিশাল-৩ আসনে জয়নুল আবেদীন ও বরিশাল-৪ আসনে রাজীব আহসানকে নির্বাচনী কাজের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের আসনের বেশির ভাগই নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ফজলুর রহমান খোকন, কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাইফ মাহমুদ জুয়েলের মধ্য থেকেও তরুণ নেতৃত্বকে সামনে আনার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিএনপির শীর্ষ নেতারা আগামী নির্বাচনে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গ্রহণযোগ্য প্রার্থীর খোঁজে এভাবে মাঠ জরিপ ও যাচাই-বাছাই চালাচ্ছেন ।