গিয়াস উদ্দিনের বক্তব্য বিএনপির ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ

hasan mahamudঢাকা: আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, চট্টগ্রামে বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছে সেটি তার ব্যক্তিগত বক্তব্য নয়। বিএনপি জামাতের ষড়যন্ত্রেরই বহিঃপ্রকাশ।

শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির রাউন্ড টেবিলে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত ‘দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, উপ-মহাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতা গিয়াস কাদের যদি বিএনপির ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এটি না বলতেন তাহলে গতকাল কিভাবে সে হুলিয়া মাথায় নিয়ে বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকে। প্রশাসনকে বলবো অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে বিএনপি জামাত যে ষড়যন্ত্র করছে তা বের করা হোক।

‘বেগম খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে সরকার ছিনিমিনি খেলছে’ বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর সাম্প্রতিক এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জামিন দেয়া এবং বাতিল করা আদালতের এখতিয়ার এখানে সরকারের ভূমিকাটি কি তা আমার বোধগম্য নয়। সুতরাং আপনারা যে প্রতিদিন সকাল বিকেল মিথ্যাচার করছেন বাংলাদেশের মানুষ এখন সচেতন এই সমস্ত মিথ্যাচার করে কোনো লাভ হবে না।

বেগম খালেদা জিয়ার বহু আগেই জেলে যাওয়া প্রয়োজন ছিলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বেগম জিয়াকে? যিনি ১৫ আগস্টকে উপহাস করার জন্য এবং খুনিদের উৎসাহিত করার জন্য নিজের জন্মের তারিখ বদলে ১৫ আগস্ট কেক কাটেন। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালীন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এবং তার পুত্রের তত্ত্বাবধানে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল।

এই বেগম জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালীন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এম এস কিবরিয়া, সাবেক এমপি আহসান উল্লাহ মাস্টারকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হত্যা করেছিল এবং হত্যাণ্ডের পর সংসদে নিন্দা প্রস্তাবও আনতে দেয়নি। তার পুত্রের মৃত্যুর পর জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে সমবেদনা জানানোর তার দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি দরজা খুলেনি। সুতরাং এই বেগম জিয়ার বহু আগেই জেলে যাওয়ার প্রয়োজন ছিলো তিনি অনেক পরেই জেলে গেছেন এবং তার এই জেল অনেক আগেই প্রাপ্য ছিলো। দেশের আইন এবং আদালতকে তারা হেনস্তা করেছেন বিধায় দেশের আইন আদালত স্বাধীন বিধায় বেগম জিয়ার শাস্তি অনেক পরে হয়েছে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এম এ জলিলের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাজোয়ার হোসেন, জাতীয় পার্টি (জেপি) অতিরিক্ত মহাসচিব সাদেক সিদ্দিকি, অরুন সরকার রানা প্রমুখ।