খালেদা, বিচারবহির্ভূত হত্যা, রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের উদ্বেগ

stephane dujarric unডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপি প্রধান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি, মাদক নিয়ন্ত্রণের অজুহাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন ইস্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ৩১শে মে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন উদ্বেগ প্রকাশ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরাঁ। এ সময় তার কাছে একে একে খালেদা জিয়াসহ ইস্যুগুলো উঠে আসে।
এখানে হুবহু ওই ব্রিফিংয়ের বাংলাদেশ অংশ তুলে ধরা হলো:

প্রশ্ন: ধন্যবাদ মিস্টার স্টিফেন। আমার প্রশ্ন হলো বাংলাদেশ নিয়ে।
সেখানে পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। গত ১৬ দিনে মাদক নিয়ন্ত্রণের নামে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ১২৫ জনকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করেছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে অনেকেই নিরীহ। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ অভিযান হলো তথাকথিত মাদক বিরোধী অভিযান। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও সাবেক সামরিক স্বৈরাচার জেনারেল এইচ এম এরশাদ বলেছেন…
উত্তর: এসব সত্য জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আসলে তথ্য পাওয়ার জন্য কি। আপনার প্রশ্নটি কি আসলে?

প্রশ্ন: আমার প্রশ্ন হলো- এই ভয়াবহ পরিস্থিতি আপনারা কিভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। ১৬ দিনে এরই মধ্যে ১০০ থেকে ১২৫ জন মানুষ নিহত হয়েছেন।
উত্তর: দেখুন বাংলাদেশ ইস্যুতে আমার কাছে এই মুহূর্তে কোনো বক্তব্য নেই। তবে আগামীকাল এ বিষয়ে হয়তো কিছু জানাতে পারবো।
এর পরেই উঠে আসে রোহিঙ্গা ইস্যু। এ অংশে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি ও তাদের প্রত্যাবর্তন নিয়ে স্টিফেন ডুজাররিকের কাছে জানতে চান একজন সাংবাদিক। এখানে তা প্রশ্নোত্তর আকারে তুলে ধরা হলো:

প্রশ্ন: ওকে স্যার। এসব রোহিঙ্গা ট্রাজেডি সম্পর্কে আমার প্রশ্ন। এসব রোহিঙ্গা বার্মার (মিয়ানমারের)। অথবা রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকার। তারা বাংলাদেশে কক্সবাজার ও এর আশপাশে বসবাস করছে। তারা (প্রত্যাবর্তনের জন্য) কখন প্রস্তুত হবে, কখন তারা প্রত্যাবর্তন করবে, তারা কি প্রত্যাবর্তন করতে পারবে, এ বিষয়ে আপনার কাছে কি কোনো আপডেট তথ্য আছে? তারা দেশে ফেরত যাওয়ার জন্য কখন প্রস্তুত হবে?
উত্তর: আপনি অবশ্যই জানেন যে, প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি ব্যক্তিবিশেষের ওপর নির্ভর করে। মর্যাদার সঙ্গে এসব মানুষ দেশে ফেরত যাওয়া উচিত, যেখানে তাদের অধিকারকে সম্মান দেখানো হবে। নিজেদের বাড়িতে তাদের ফিরে যাওয়ার অধিকার থাকা উচিত। দুই দেশের সরকার ও জাতিসংঘের বিভিন্ন এজেন্সির মধ্যে এ বিষয়ে একটি ফ্রেমওয়ার্ক সৃষ্টিতে আলোচনা চলমান পর্যায়ে আছে। তবে এখনই আমি এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারবো না।

এরপরেই উঠে আসে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ইস্যু। এখানে একজন সাংবাদিক স্টিফেন ডুজাররিককে দীর্ঘ একটি প্রশ্ন করেন। প্রশ্নটি এ রকম: ধন্যবাদ স্টিফেন। আবারো বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্ন। আপনি জানেন যে, বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী কারাগারে এবং তিনি জামিন পেয়েছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো সরকার তাকে মুক্তি দিচ্ছে না। উল্টো তারা তার বিরুদ্ধে আরো তিনটি মামলা করেছে। বর্তমানে তার স্বাস্থ্যগত অবস্থা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তার দলীয় মহাসচিব বলেছেন, তাকে একটি বিচ্ছিন্ন কক্ষে রাখা হয়েছে। সেখানে বিদ্যুতের সংকট রয়েছে। তাকে নিম্নমানের খাবার দেয়া হচ্ছে। তার স্বাস্থ্যগত অবস্থা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন তার দলের মহাসচিব। তাই জাতিসংঘের মহাসচিব এ ইস্যুগুলো কিভাবে দেখছেন?
উত্তরে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, আগেই আমরা এসব বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। এ বিষয়ে আমি আপনাকে আগামীকাল আপডেট জানাতে পারবো।