বিশ্বরেকর্ড গড়লেন কুক; আফসোস হচ্ছে না মুশফিকের?

স্পোর্টস ডেস্ক: দুজনেই নিজ নিজ দলের অপরিহার্য ক্রিকেটার। দলের পরম নির্ভরতার প্রতীক। একজন ওপেনিংয়ে আরেকজন মিডল অর্ডারে। দুজনের টেস্ট অভিষেক হয়েছে এক বছর আগু পিছু। মুশফিকুর রহিমের অভিষেকের পরের বছর সাদা পোশাকে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেছিলেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক। গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে হেডিংলি টেস্টে খেলতে নেমেই সর্বোচ্চ টেস্ট খেলার বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। আর মুশফিক?

২০০৫ সালের ২৬ মে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেক হয়েছিল মুশফিকুর রহিমের। প্রথম ইনিংসে ১৯ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ রান করেছিলেন। ম্যাচটি ইনিংস এবং ২৬৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। এতে মুশফিক দমে যাননি। সময়ের সাথে সাথে নিজেকে শাণিত করে হয়ে উঠেছেন জাতীয় দলের ‘মি. ডিপেন্ডেবল’। টেস্টে ৫ সেঞ্চুরি আর ১৯ হাফ সেঞ্চুরিতে ৩৪.৯৬ গড়ে করেছেন ৩৬৩৬ রান। কিন্তু ম্যাচের সংখ্যা কত? ১২ বছরে মুশফিক খেলেছেন মাত্র ৬০টি টেস্ট! আর এই সময়ে বাংলাদেশ খেলেছে ৭২টি টেস্ট।

এবার অ্যালিস্টার কুকের ক্যারিয়ারের দিকে তাকানো যাক। মুশির অভিষেকের পরের বছর ২০০৬ সালে ১ মার্চ ভারতের বিপক্ষে নাগপুর টেস্টে অভিষেক হয় কুকের। প্রথম ইনিংসে ৬০ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলে জায়গা পাকা করে ফেলেন! সেই যে ওপেনিং পজিশন দখল করলেন, ১১ বছরেও তার সেই পজিশনের পরিবর্তন হয়নি। এই ১১ বছরে তিনি টানা টেস্ট খেলেছেন ১৫৬টি। অ্যালান বোর্ডারের একটানা ১৫৫ টেস্ট খেলার রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়েছেন গতকাল। ৩২ সেঞ্চুরি, ৫৬ হাফ সেঞ্চুরি আর ৪৫.৬৫ গড়ে রান করেছেন ১২০৯৯।

পরিসংখ্যানেই খুব স্পষ্টভাবে বোঝা যায় ক্রিকেটবিশ্বের বৈষম্যের বিষয়টি। ক্রিকেটের বনেদি এই ফরম্যাটে ২০১৫ সালের জুলাইয়ের পর টেস্ট খেলতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। ইংল্যন্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের হোম সিরিজটি ছিল বাংলাদেশের খেলা ওই বছরের একমাত্র সিরিজ। ইদানিং অবস্থার কিছুটা হলেও পরিবর্তন হয়েছে। আগামী এফটিপিতে বেশ ভালোই টেস্ট খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু মুশফিকরা এখন দলের সিনিয়র সদস্য। প্রশ্ন থেকেই যায়, অবসরের আগে ১০০ টেস্ট খেলতে পারবেন তো তিনি?