এমপিদের প্রচারে সুযোগ দিতে তড়িঘড়ি

Election Comission ecডেস্ক রিপোর্ট: সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শুধু সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্যদের প্রচারের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আচরণবিধি সংশোধনের প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে রাজশাহী-বরিশাল-সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অন্য এমপিদের প্রচারণার সুযোগ দিতে তড়িঘড়ি করে আচরণবিধি গতকাল ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থানীয় এমপিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা রেখে সিটি আচরণবিধি মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের পর নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন পেলেই সংশোধিত আচরণবিধি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। এ ক্ষেত্রে আগামী ১৩ জুনের আগে গেজেট হলে এমপিরা তিন সিটির ভোটে প্রচারে অংশ নিতে পারবেন।

ইসি সচিবালয়ের আইন শাখার যুগ্ম-সচিব সেলিম মিয়া বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনীয় সবকিছু প্রস্তুত করে দিয়েছি। ডেসপাচের মাধ্যমেই তা আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।’

তবে একজন ইসির সহকারী জানান, এ-সংক্রান্ত ‘সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) (সংশোধন) বিধিমালা, ২০১৮’ মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের জন্য সকালে পাঠানো হয়েছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’র তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিধির ২(১৩) এর সংজ্ঞায় এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাতে সব এমপির প্রচারণার সুযোগ উন্মুক্ত হয়ে যায়। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের পর বিধির ২২ ধারায় ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর নির্বাচনী প্রচারণা এবং সরকারি সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত বাধা-নিষেধ’-এ নতুন করে সংযোজন করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট এলাকার (সিটি করপোরেশন) সংসদ সদস্যরা নির্বাচনপূর্ব সময়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে প্রচারণা চালাতে পারবেন না ও সরকারি সুবিধাদি ব্যবহার করতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে সিটি নির্বাচনী এলাকার বাইরের এমপিদের ভোটের প্রচারে নামতে কোনো বাধা থাকবে না বলে ইতিমধ্যে জানিয়েছেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা। এমপিদের স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে প্রচারণায় সুযোগ করে দেওয়ার সমালোচনার মুখে এক ধাপ পিছিয়ে শুধু স্থানীয় এমপিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এখন ইসি।

আগামী ২৬ জুন গাজীপুরে এবং ৩০ জুলাই বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহী সিটিতে ভোট রয়েছে। এ আচরণবিধি আইন মন্ত্রণালয় ইসির প্রস্তাবিত সংশোধনীতে ‘ভেটিং’-এ ভিন্নমত পোষণ করলে বা ইসির কাছে পুনর্বিবেচনার জন্য ফেরত পাঠালে বিধি সংশোধন বিলম্ব হতে পারে। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন