নির্বাচনী বাজেটে কে কী চায়

budget 2018 2019ডেস্ক রিপোর্ট: আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে এটিই বর্তমান মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ বাজেট। এ কারণে আসন্ন বাজেটকে অনেকেই ‘নির্বাচনী বাজেট’ বলে অভিহিত করছেন। সাধারণত নির্বাচনী বাজেটে জনগণকে সন্তুষ্ট করার প্রচেষ্টা থাকে। এ কারণে এ ধরনের বাজেটে খুব বেশি সংস্কার বা পরিবর্তন হয় না। নতুন বাজেটেও সে অর্থে তেমন কোনো পরিবর্তন আসছে না। কেবলমাত্র টাকার অঙ্কে বাড়ছে বাজেট। অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের আকার হতে পারে প্রায় ৪ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার। এরই মধ্যে কর ও ভ্যাটের হারে কিছু পরিবর্তনেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে কর্পোরেট কর ভ্যাটের স্তর কমিয়ে আনার কথা বলেছেন তিনি। তবে এ ধরনের নির্বাচনী বাজেট ঘিরে ব্যবসায়ী, শিল্পোদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন খাতে সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা বেশি থাকে। সবাই আশা করেন তাদের দাবি-দাওয়া পূরণে সচেষ্ট হবে সরকার। অতি প্রত্যাশার এ বাজেটকে ঘিরে ব্যবসায়ী সংগঠনসহ বিভিন্ন খাতের পক্ষ থেকে নানা ধরনের দাবি ও সুপারিশ জানানো হয়েছে গত কয়েক মাস ধরে। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী সংগঠনের দাবি বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা কমানো হোক। করপোরেট কর হার কমানোর দাবিও রয়েছে। শিল্প ও বিনিয়োগে গতি আনতে গ্যাস বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো খাতে গুরুত্ব দেওয়ারও সুপারিশ রয়েছে এসব প্রস্তাবে। ব্যবসাবান্ধব ও হয়রানিমুক্ত রাজস্ব প্রশাসনও চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

মিথ্যা ঘোষণায় শুল্ক ফাঁকি রোধে যৌথ কমিটি চায় এফবিসিসিআই : ব্যক্তি পর্যায়ে আয়কর সীমা আড়াই লাখ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। এ ছাড়া নতুন ভ্যাট আইন কার্যকরে ব্যবসায়ীদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ারও প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিভিন্ন খাতে করপোরেট কর কমানোসহ রাজস্ব আদায়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যবসায়ীদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া ব্যবসায়ীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনটি। শিল্পের মৌলিক কাঁচামালসহ অন্যান্য আমদানি পণ্যের ওপর ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার ও করপোরেট কর হার কমানোর দাবি করেছে এফবিসিসিআই। করপোরেট কর ২ দশমকি ৫ শতাংশ কমিয়ে সব কোম্পানির করের হার ২৫ শতাংশ এবং মূসক নিবন্ধনকারী তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ট্রেডিং কোম্পানির ক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ করার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত করদাতার প্রদর্শিত নিট পরিসম্পদের ভিত্তিতে সারচার্জের শূন্য শতাংশের সীমা ৩ কোটি টাকায় বাড়ানো এবং দ্বৈত কর নীতি বাতিলের দাবি করাও হয় ব্যবসায়ীদের এই শীর্ষ সংগঠনটির পক্ষ থেকে। দেশীয় শিল্পের মৌলিক কাঁচামাল এবং রাসায়নিক জাতীয় পণ্যের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৩ শতাংশ শুল্ক স্তর নির্ধারণ ছাড়াও স্টিল ও লোহা জাতীয় পণ্য, চিনি, সিমেন্ট ক্লিংকার, পেট্রোলিয়ামজাতীয় পণ্যসহ ৪৭টি পণ্যে শুল্ক ফি প্রত্যাহার করার দাবি করা হয়েছে। মিথ্যা ঘোষণায় শুল্ক ফাঁকি রোধে যৌথ কমিটি গঠন করারও প্রস্তাব করেছে এফবিসিসিআই।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক আট লেন চায় ডিসিসিআই : ঢাকা চেম্বারের বাজেট প্রস্তাবে দেশে বেসরকারি এবং বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এ জন্য করপোরেট কর কমানো দরকার বলে মনে করে ঢাকা চেম্বার। সংগঠনটির নেতারা মনে করেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট পরবর্তী আগামী তিন বছরে করপোরেট করের হার পর্যায়ক্রমে ১০ শতাংশ কমিয়ে আনা যেতে পারে। বাজেট প্রস্তাব দিতে গিয়ে আবুল কাসেম বলেন, বাংলাদেশে করপোরেট করের হার অনেক বেশি। এই কর কমপক্ষে পাঁচ শতাংশ কমানো দরকার। সেই সঙ্গে পরের দুই অর্থবছরে আরও পাঁচ শতাংশ কমানো দরকার। তাতে ব্যবসায়ীরা আরও বেশি বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন। বিনিয়োগ বাড়লে দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে চট্টগ্রাম বন্দরকর্মীদের দক্ষতা বাড়ানো, যানজট নিরসনে ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন থেকে আট লেনে উন্নীত করা এখন সময়ের দাবি বলেও তিনি উল্লেখ করেন। নতুন বাজেটে অবকাঠামোগত খাতের উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ রয়েছে ঢাকার এই ব্যবসায়ী সংগঠনটির। পাশাপাশি বাজেটে ট্যাক্স কার্ডহোল্ডারদের সুবিধা-অসুবিধা জানানোর জায়গা হিসেবে একটি বিশেষ সেল গঠনের প্রস্তাবও দিয়েছে তারা।

ব্যাংক খাতে বিশেষ নজর চায় মেট্রোপলিটন চেম্বার : শিল্পোদ্যোক্তাদের সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) এনবিআর-এর কাছে যে বাজেট প্রস্তাব করেছে, সেখানে তারা জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক নয়, জনকল্যাণ ও ব্যবসাবান্ধব বাজেট প্রস্তাবের দাবি জানিয়েছে। এমসিসিআই নেতারা মনে করছেন, যেহেতু এ বছর নির্বাচনী বছর তাই সরকার নির্বাচনমুখী বাজেট প্রণয়ন করবে। তবে তারা আশা করছেন, সরকার নির্বাচন বিবেচনা না করে সত্যিকার অর্থে দেশের উন্নতির দিকে নজর রেখে বাজেট প্রণয়ন করবে। যে বাজেট জনকল্যাণ ও ব্যবসাবান্ধব হবে। বাজেট প্রস্তাবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অব্যবস্থাপনা ও তারল্য সংকটের চিত্র তুলে ধরে এমসিসিআই নেতারা বলেন, ব্যাংক ব্যবস্থাপনার দিকে সরকারকে নজর দিতে হবে। বর্তমানে সব ব্যাংকই তারল্য সংকটে ভোগছে। এ অবস্থা থেকে ব্যাংকগুলোকে উত্তরণ না ঘটাতে পারলে বড় সমস্যায় পড়তে হবে। তাই এবারের বাজেটে ব্যাংক খাতে বিশেষ নজর দিতে হবে।

উৎসে কর প্রত্যাহার চায় তৈরি পোশাক খাত : তৈরি পোশাক উৎসে কর মওকুফ, করপোরেট করহার ১২ থেকে ১০ শতাংশ নামিয়ে আনা এবং অনলাইন অডিট ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। একই সঙ্গে এই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ইউটিলিটি সার্ভিসে (গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি) ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের এই সংগঠনটি। এনবিআরকে দেওয়া বাজেট প্রস্তাবে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানিতে সোর্স ট্যাক্স হিসেবে দুই থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আসে। ৪ লাখ কোটি টাকার বাজেটে এটি খুব বড় অর্থ নয়। আমরা সম্পূর্ণরূপে উৎসে কর প্রত্যাহারের কথা বলছি। রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে এটা না নিলে খুব ক্ষতি হবে না। তিনি বলেন, তৈরি পোশাক ভ্যাটের আওতামুক্ত। রপ্তানিমুখী সব পণ্যই ভ্যাটের আওতামুক্ত হওয়া উচিত।

লাভের ওপর কর অব্যাহতি চায় পুঁজিবাজার : আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে বর্তমান ক্রমহ্রাসমান হারে কর অব্যাহতির পরিবর্তে তিন বছরের জন্য পূর্ণ কর অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-এর পক্ষ থেকে। দেশের প্রধান পুঁজিবাজারের পক্ষ থেকে উপস্থাপিত অন্যান্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, স্টক এক্সচেঞ্জের মেম্বারদের কাছ থেকে ট্রেডের ওপর আদায়কৃত করের হার শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক শূন্য ১৫ শতাংশে কমানো, ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ী এক্সচেঞ্জের বর্তমান শেয়ারহোল্ডারদের ৬০ শতাংশ শেয়ার বিক্রির মূলধনী লাভের ওপর কর অব্যাহতি, বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের লভ্যাংশ আয়ের করমুক্ত সীমা ২৫ হাজার টাকার পরিবর্তে এক লাখ টাকায় উন্নীতকরণ, লভ্যাংশের ওপর উৎসে কর্তনকৃত কর চূড়ান্ত করদায় পরিশোধ হিসেবে বিবেচনা, ডি-মেটিরিয়্যালাইজড শেয়ার ও ডিবেঞ্চার হস্তান্তরের ওপর স্ট্যাম্প ডিউটি প্রত্যাহার, তালিকাভুক্ত কোম্পানির ওপর আয়করের হার ২৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করা এবং আইপিওর মাধ্যমে তালিকাভুক্তির পরবর্তী ৩ বছর ১০০ শতাংশ হারে আয়কর রেয়াত প্রদান।

ফ্ল্যাট নিবন্ধন কর কমানোর দাবি রিহ্যাবের : গৃহনির্মাণ শিল্পের সংগঠন রিহ্যাব ফ্ল্যাট নিবন্ধনের কর কমানোর দাবি জানিয়েছে। এনবিআর-এর সঙ্গে এক বৈঠকে রিহ্যাবের প্রথম সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া মিলন বলেন, বিনা প্রশ্নে অপ্রদর্শিত অর্থ আবাসন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হোক। একই সঙ্গে স্বল্প ও মধ্যবিত্তদের আবাসন সমস্যা সমাধানে ফ্ল্যাটের নিবন্ধন খরচ ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হোক। এ ছাড়া রেজিস্ট্রেশন ফি, স্ট্যাম্প ডিউটি, গেইন ট্যাক্স কমিয়ে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ করা, সাপ্লায়ার ভ্যাট ও উৎসে কর সংগ্রহের দায়িত্ব থেকে পাঁচ বছরের জন্য ডেভেলপারদের অব্যাহতি দেওয়া, আবাসন খাতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সিঙ্গেল ডিজিট সুদে দীর্ঘমেয়াদি পুনরর্থায়ন বা রি-ফাইন্যান্সিং সুবিধা চালু করারও দাবি জানান আবাসন খাতের এই সংগঠনটি।

অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার চায় সিমেন্ট শিল্প : আসন্ন বাজেটে সিমেন্ট উৎপাদন খাতে ৫ শতাংশ হারে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা কামাল এনবিআরকে দেওয়া বাজেট প্রস্তাবে বলেন, চাহিদার ৩ কোটি টন সিমেন্ট দেশেই উৎপাদন হচ্ছে। বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি ও ব্যাংক সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় খাতটি বর্তমানে হুমকির মুখে। সংগঠনটির পক্ষে ক্লিংকার আমদানির ওপর শুল্ক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা, অন্যসব মৌলিক কাঁচামালের শুল্কহার ৫ শতাংশ করা, ইনভয়েস মূল্যে শুল্কায়নের ব্যবস্থা নেওয়া এবং সরকারে মেগা প্রজেক্ট ব্যবহার হওয়া, বাল্ক ক্যারিয়ারের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়।

৩ বছরের কর অবকাশ সুবিধা চায় নারী উদ্যোক্তারা : দেশের নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিডব্লিউসিসিআই) নারীদের ব্যবসা শুরুর প্রথম ৩ বছর কর অবকাশ সুবিধা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। এ ছাড়া নারীদের করমুক্ত আয় সীমা চার লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে বিডব্লিউসিসিআই। পাশাপাশি সরকার ঘোষিত থোক বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা চলমান রাখা, নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক বিক্রয়ের পরিমাণ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ভ্যাট ও ট্যাক্স মওকুফ করা এবং নারী উদ্যোক্তা কর্তৃক ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আমদানিকৃত মেশিনারির ওপর কর মওকুফের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য খাতের মধ্যে বাংলাদেশ অটোমোবাইল অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড মেনুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন মোটরসাইকেল উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের সংগঠন এসএমই ফাউন্ডেশন এই খাতে আরও উদ্যোক্তা তৈরি ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তৈরির প্রধান উপকরণ পলিকার্বোনেট, প্লাস্টিক শিল্পের মৌলিক কাঁচামাল প্রাইমারি পলিমার, মেলামাইনের ছাপচিত্রে ব্যবহৃত ট্রান্সফার পেপার, পেপার ও পেপার বোর্ড ইত্যাদির উপর শুল্ক-কর হ্রাসের প্রস্তাব দিয়েছে। আগামী বাজেটে সফটওয়্যার ও আইটি সেবা সংশ্লিষ্ট বিদ্যামান শুল্ক এবং আইটি কোম্পানির কর অব্যাহতি সনদ ইস্যুকরণ, সমমূলধনী তহবিল (ইইএফ) পুনরায় চালুসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে এ খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প খাতের সংগঠন বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন টার্নওভারের ওপর থাকা ০.৬০ শতাংশ কর অব্যাহতির দাবি জানিয়েছে। রডসহ এমএস পণ্য প্রস্তুতকরণ ও সরবরাহ পর্যায়ে ট্যারিফ কমানোর দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশন। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন