নিজ ঘরে মহিলা লীগ নেত্রী খুন, স্বামী আটক

sahin sultana fanciচাঁদপুর: কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সদস্য অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানা ফেন্সি নিজ বাসায় খুন হয়েছেন। সোমবার রাতে চাঁদপুর শহরের ষোলঘর এলাকায় নিজ বাসভবন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় স্বামী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আটক করা হয়েছে।

শাহীন সুলতানা ফেন্সি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

নিহতের আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ফেন্সি ও জহিরুলের দম্পত্য কলহ চলছিলো। এর মাঝে গত ৩ বছর আগে গোপনে জহিরুল দ্বিতীয় বিয়ে করে। ওই স্ত্রী শহরের একটি হাসপাতালে সন্তান জন্ম দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়। তারপর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে দাম্পত্য বিরোধ আরো বেড়ে যায়। এছাড়া প্রায়ই জহির তার স্ত্রীকে মারধর করতো বলে অভিযোগ ফেন্সির স্বজনদের। তাদের দাবি, জহিরই ফেন্সিকে হত্যা করেছে।

ফেন্সির ছোট ভাই ফোরকান আহমেদ জানান, তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং প্রভাবশালী আইনজীবী হওয়ায় এ হত্যার সঠিক বিচার পাই কিনা সন্দেহ। আমরা খুব আতঙ্কে আছি। এ খুনের সঠিক বিচার চাই আমরা।

চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালী উল্লাহ ওলি জানান, স্থানীয়রা খবর দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। ঘরের দরজা খোলা পেয়ে কক্ষে প্রবেশ করলে শোবার ঘরের খাটের সামনের মেঝেতে ফেন্সির রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। মাথায় আঘাতের কারণে ফেন্সি নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। তদন্ত শেষে এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলেও জানান ওসি। পরে লাশ উদ্ধার করে থানা নিয়ে আসা হয়। আর জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে তার স্বামী এডভোকেট জহিরুল ইসলামকে আটক করা হয়।

প্রসঙ্গত, শাহীন সুলতানা ফেন্সি তিন কন্যা সন্তানের জননী। তার দুই মেয়ে দেশের বাইরে এবং এক মেয়ে কুমিল্লাতে অবস্থান করেন।