বাংলাদেশের কোচ হতে আসছেন স্টিভ রোডস

stivs rodsস্পোর্টস ডেস্ক: চন্ডিকা হাথুরুসিংহের চলে যাওয়ার পর থেকেই টাইগারদের হেড কোচের পদটি খালি। হেড কোচ ছাড়া ঘরে বাইরে মিলিয়ে বেশ কয়েকটি সিরিজও খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ। তাতে হেড কোচের অভাব আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিসিবি বিভিন্ন সময়ই জানিয়েছিল শীঘ্রই নিয়োগ দেওয়া হবে নতুন কোচ। কিন্তু ছয় মাস হতে চলল নতুন কোচের সন্ধান নেই। যদিও বেশ কয়েকজনের সাথেই কথা বলেছে বিসিবি। এবার বাংলাদেশের কোচ হওয়ার জন্য বিসিবি’র সাথে সাক্ষাৎ করতে আসছেন সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার স্টিভ রোডস। এ সপ্তাহেই বাংলাদেশে আসবেন তিনি।

বাংলাদেশের হেড কোচ হওয়ার জন্য রোডস যে বাংলাদেশে আসছেন তা নিশ্চিত করেছেন বিসিবি’র সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। ক্রিকেট বোর্ডের শর্ট লিস্টে থাকা রোডসের নাম সুপারিশ করেছেন পরামর্শক হিসেবে আসা গ্যারি কার্স্টেনও। মঙ্গলবার সুজন বলেছেন, ‘স্টিভ রোডস শর্ট লিস্টে আছেন। আশা করছি আগামী দুই দিনের মধ্যে বোর্ডের সঙ্গে মিট করবেন। আপনারা অতীতে দেখেছেন পাইবাস-ফিল সিমন্স এসেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোডস এসেও নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের সঙ্গে দেখা করে ওনার উপস্থাপনা দেবেন।’

সাক্ষাতকারে মূলত নিজেদের চিন্তা ও রোডসের পরিকল্পনা নিয়ে আলাপ হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি’র সিইও। রোডস ক্রিকেটার হিসেবে কিংবা কোচ হিসেবে খুব একটা পরিচিত নাম নয়। ইংল্যান্ডের ক্লাব দল ওরচেস্টারশায়ারের কোচ এবং পরে ডিরেক্টর অব ক্রিকেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এরকম একজনকে হেড কোচ হিসেবে চিন্তা করার ব্যাপারে কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সুজন বলেছেন, ‘আমরা অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিয়েছি। আমরা প্রাথমিকভাবে বেশ কয়েকজন কোচের সাথে কথা বলেছি; বিগ নেম ও অভিজ্ঞতা দুটোই ছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে হয়তো ওনারা অ্যাভেলেবেল ছিলেন না, বা ফ্যামিলি কমিটমেন্টের কারণে হয়তো ওনারা আসতে পারেননি। এ মুহূর্তে যে কয়জন অ্যাভেলেবেল কোচ পাওয়া গেছে তার মধ্যে সে অভিজ্ঞদের একজন। মূলত তার অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিচ্ছি।’

তবে রোডসকে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে বিবেচনার ক্ষেত্রে আগামী বিশ্বকাপের চিন্তা কাজ করেছে। ২০১৯ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হবে ইংল্যান্ডে। ফলে ইংলিশ কন্ডিশন সম্পর্কে ভালো জানাশোনা একজন কোচ বাংলাদেশের জন্য অধিক সহায়ক হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করে বিসিবি। সুজনের কথায়, ‘আপনারা জানেন আগামী বিশ্বকাপ ইংল্যান্ডে হবে। এ জন্য এটাও বিবেচ্য বিষয়। ইংল্যান্ডের কন্ডিশন বা ওই ধরনের কন্ডিশনের কাউকে যদি দলের সাথে সম্পৃক্ত করা যায় তাহলে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যেতে পারে।’

৫৩ বছর বয়সী রোডস ছিলেন মূলত উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন ১১টি টেস্ট, ওয়ানডে মাত্র ৯টি। তবে খুব একটা উজ্জ্বল নয় তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। ১১ টেস্টে ২৪.৫০ গড়ে করেছেন ২৯৪ রান। আর ৯টি ওয়ানডেতে করেছেন ১০৭ রান, গড় ১৭.৮৩। অবসরের পর ২০০৫ সালে ওরচেস্টারশায়ারের কোচ হিসেবে যোগ দেন। পরে ২০০৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ডিরেক্টর অব ক্রিকেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।