জিদানের পদত্যাগের কারণ তাহলে এই

jedanস্পোর্টস ডেস্ক: মাত্র আড়াই বছরে রিয়াল মাদ্রিদকে দু’হাত ভরে সাফল্য এনে দেয়ার পরও কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান জিনেদিন জিদান। কিন্তু কি ছিল ফরাসি কোচের পদত্যাগের নেপথ্যের কারণ? অনেকে অনেক রকম মন্তব্য করলেও আসল কারণ প্রকাশ করেছে লন্ডনের দৈনিক দ্য সান। খেলোয়াড় দলবদল নিয়ে ক্লাব প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মতৈক্যে পৌঁছাতে না পেরেই এই সিদ্ধান্ত নেন জিদান।

যেদিন হঠাৎ প্রেস কনফারেন্স ডেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তার আগের দিন রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনা পেরেজের সঙ্গে খেলোয়াড় দলবদল নিয়ে বাকবিতন্ড হয় জিদানের। ব্যাপারটা আরো ছোট করে বললে ঝামেলাটা বাধে এডেন হ্যাজার্ড ও ডেভিড ডি গিয়াকে নিয়ে। জিদান চাইছিলেন চেলসি মিডফিল্ডার হ্যাজার্ডকে দলে টানতে। কিন্তু তাতে একদম মত ছিল না পেরেজের। ওদিকে পেরেজ চাইছিলেন লম্বা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গোলরক্ষক ডি গিয়াকে দলে ভেড়াতে। কিন্তু জিদানের আস্থা দলের বর্তমান নাম্বার ওয়ান কেইলর নাভাসের উপর। এ নিয়ে বিতর্ক চলতেই থাকে। এক পর্যায়ে জিদান পেরেজকে বলেন, ‘তুমিই দলের দেখাশোনা কর। আমি চললাম।’

পেরেজের হাত ধরেই রিয়ালে শুরু হয় নতুন গ্যালাক্টিকো অধ্যায়। প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিজের প্রথম মেয়াদে রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে জিদান, লুইস ফিগো, রোনালদো, ডেভিড বেকহ্যামের মত তারকাদের দলে ভিড়িয়েছিলেন পেরেজ। দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রান্সফার ফির রেকর্ড গড়ে কাকাকে আনলেও ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের কাছ থেকে আশানুরুপ সেবা পায়নি রিয়াল। কিন্তু খেলোয়াড় দলবদলের রেকর্ড গড়ে রোনালদো ও গ্যারেথ বেলকে নিয়ে বাজিমাত করেন পেরেজ। তাদের কাধে ভর দিয়েই গেল পাঁচ মৌসুমে চারবার ইউরোপ সেরার মুকুট পরে লস বø্যাঙ্কোসরা। যার তিনটিই আবার এসেছে কোচ জিদানের হাত ধরে।

মাঝে বেশ কয়েক মৌসুম ধরে চলে কোচ বাছাই প্রক্রিয়া। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে রাফায়েল বেনিতেজকে সরিয়ে এক প্রকার জোর করেই জিদানকে দলের দায়ীত্ব দেন পেরেজ। ৪৭ বছর বয়সীর হাত ধরেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ যুগর প্রথম দল হিসেবে হ্যাটট্রিক শিরোপা জেতে রিয়াল।