আজ আন্তর্জাতিক আর্কাইভস দিবস

ডেস্ক রিপোর্ট: আজ আন্তর্জাতিক আর্কাইভস দিবস। ১৯৪৮ সালের ৯ জুন ইউনেস্কোর অঙ্গ সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অন আর্কাইভস (আইসিএ) এর যাত্রা শুরু হয়। আইসিএ’র উদ্যোগেই ২০০৮ সাল থেকে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক আর্কাইভ দিবস।

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘আর্কাইভস : গভর্নেন্স, মেমোরি, অ্যান্ড হেরিটেজ’। মূলত ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি আর প্রশাসনের নীতিনির্ধারকদের সামনে আর্কাইভসের গুরুত্ব তুলে ধরার জন্যই এ দিবসের সূচনা করে আইসিএ।

সুশাসন, তথ্যভাণ্ডার ও ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে ১৯৭২ সাল থেকে জাতীয় আরকাইভস কাজ করে আসছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের নভেম্বরে আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরটি প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় আরকাইভস ভবন নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। জাতীয় আরকাইভস ভবন নির্মাণের প্রথম পর্যায় ২০০৪ সালে এবং ২য় পর্যায় ২০১২ সালে শেষ হয়। বর্তমানে জাতীয় আরকাইভসের কার্যক্রম ৫তলা বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন এবং ৭তলা বিশিষ্ট স্ট্যাক ভবনে সম্পাদন হচ্ছে যা আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭-এ অবস্থিত।

আজ যথাযথ গুরুত্বের সাথে বাংলাদেশেও সরকারি-বেসরকারি ভাবে আন্তর্জাতিক আর্কাইভস দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

প্রদত্ত বাণীতে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, ‘জাতীয় আরকাইভস আজ বাংলাদেশের শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ভূ-রাজনীতি, নিজস্ব ভাষা এবং সংস্কৃতি বিবেচনায় বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে নিজের স্থান করে নিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় আরকাইভসের সংগ্রহশালায় রক্ষিত পুরাতন নথিপত্র দেশ-বিদেশের সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, গবেষকসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের নিকট গ্রহণযোগ্য ইতিহাস চর্চার অমূল্য দলিল।’

প্রদত্ত বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতীয় আরকাইভস খুব শিগগিরই দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সমৃদ্ধশালী কেন্দ্রীয় সংরক্ষণাগার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।’

২১ বছর পর জনগণের ভোটে ১৯৯৬ সালে দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র ফিরে আসে এবং মানুষের নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি চর্চার বন্ধ দুয়ার উন্মোচিত হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তখন ঢাকার আগারগাঁওয়ে জাতীয় আরকাইভস ভবন নির্মাণ করা হয়।’