আবারও সাব্বিরের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ!

Sabbir Rahmanস্পোর্টস ডেস্ক: সাব্বির রহমানের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ নতুন কোন ঘটনা নয়। এই তো গেল ডিসেম্বরে রাজশাহীতে জাতীয় লিগের ম্যাচ চলাকালিন এক কিশোর ভক্তকে পেটান তিনি। শাস্তি হিসেবে এ ডানহাতি ছিলেন ৬ মাসের জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটের বাইরে। জরিমানাও দিতে হয়েছিল ২০ লাখ টাকা। এবার সেই তিনিই জড়ালেন সতীর্থের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায়। শুধু তাই নয়, সেটা নাকি মারামারি পর্যন্তও গড়িয়েছে। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছে ভারতের ক্রিকেটভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যম।

ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ থাকলেও সদ্যই শেষ হওয়া আফগানিস্তান সিরিজের জন্য সাব্বির বিবেচিত হয়েছিলেন জাতীয় দলে। দেরাদুনে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেও মাঠে নেমেছিলেন তিনি। রান করেছিলেন যথাক্রমে ০ ও ১৩। যে কারণে তৃতীয় ম্যাচ থেকে বাদ পড়েছিলেন মারমুখী এ ব্যাটসম্যান। সবার ধারণটাও ছিল তাই। কিন্তু না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে অন্য কারণ জানিয়েছে ভারতের ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজ। শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে শেষ ম্যাচে বাদ পড়েছিলেন সাব্বির।

আফগানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি চলার সময় একজন প্রত্যক্ষদর্শীর চোখে ধরা পড়ে, ড্রেসিংরুমে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করেন সাব্বির। সেটা শেষ হয়েছে মারামারিতে। এ ব্যাপারে বোর্ডের এক কমর্কর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘এটা তেমন বড় কোনও ইস্যু নয়, কেবল ভুল বোঝাবুঝি। এমনকি এই ঘটনা ম্যানেজারের রিপোর্টেও উল্লেখ করা হয়নি।’

ঐ ঘটনায় যেন সাব্বির বড় কোন শাস্তি না পায়, সেজন্য নাকি বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন ব্যাপারটি চেপে গেছেন।

এরআগে ২০১৬ সালে টিম হোটেলে মেয়ে অতিথি নিয়ে গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছিলেন সাব্বির। যে কারণে ১২ লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছিল তার। এরপর গত বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে মাঠের আম্পায়ারের সঙ্গে বাজে আচরনের দায়ে মাচ ফির অর্ধেক জরিমানাও গুনেছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরও শিক্ষা পাননি রাজশাহীর এ ক্রিকেটার। একের পর এক শৃঙ্খলাভঙ্গ করেই যাচ্ছেন এ ডানহাতি। তাহলে এভাবেই কি চলবেন সাব্বির?