মির্জা ফখরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর

fokrul khalidডেস্ক রিপোর্ট: লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। মঙ্গলবার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান।

তারেক রহমানের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের লন্ডনে বৈঠকের সমালোচনা করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামির সঙ্গে শুধু বৈঠকই করেননি, ভূরিভোজও করেছেন। ওখানে বসে কী ষড়যন্ত্র করছেন, তা খতিয়ে দেখতে হবে। একজন সাজাপ্রাপ্ত পালাতক আসামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করা আইনের ব্যত্যয় ঘটে কিনা, সেটা খতিয়ে দেখে আইনের আওতায় আনতে হবে।’

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আগামী নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন, সেদিকে মনোযোগী না হয়ে বিএনপি এখন বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে।’

ইসলামের কল্যাণে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আল্লাহর নাম নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এ দেশকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। এদেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু। তার হাত ধরেই বিশ্ব ইসলামী সংস্থা ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরপরই এদেশে মদ-জুয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারও ইসলাম ধর্মের প্রচারে সচেষ্ট। এদেশে একটা সময় মসজিদভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার আবার তা চালু করেছে। আওয়ামী লীগ সব সময় কোরআন-সুন্নাহবিরোধী আইন পাসের বিপক্ষে। আওয়ামী লীগই মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পুনর্গঠন করেছে, আলেমদের দীর্ঘদিনের দাবি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। ঈদে মিলাদুন্নবী, শবে-কদর, শবে-বরাত উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে। ইসলাম প্রচারে তাবলীগ জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। মাদ্রাসা শিক্ষাকে আধুনিক করেছে আওয়ামী লীগ। কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের প্রচলিত সনদের সমমানের মর্যাদাও দিয়েছে বর্তমান সরকার। ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে।’

উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যদের ধন্যবাদ জানান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। দ্বিতীয় পদ্মাসেতুতে উত্তরবঙ্গকে সংযুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে ভবিষ্যৎ উন্নয়নে উত্তরবঙ্গকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করার দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানকে তিনি প্রজন্ম রক্ষার অভিযান বলে মন্তব্য করেন।