যশোরে ১ হাজার ৭শ’ ৬৯টি ঈদগাহে ঈদের জামাত

স্টাফ রিপোর্টার: প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যশোরের আট উপজেলায় ১ হাজার ৭শ’ ৬৯টি ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে যশোর শহরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায়। যেখানে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাসহ রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিসহ ১০ থেকে ১২ হাজার মুসল্লী ঈদের নামাজ আদায় করবেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হুসাইন শওকত জানান, জেলায় মোট ঈদগাহ রয়েছে ১ হাজার ৭শ’ ৬৯টি। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৩৩০, চৌগাছায়, ১৯৭, ঝিকরগাছায় ২০৯, শার্শায় ২৪৯, মণিরামপুরে ১৪০, কেশবপুরে ২৬৮, অভয়নগরে ২২০ ও বাঘারপাড়ায় ১৫৬টি।

এদিকে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন উপলক্ষে এবারো যশোরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান নামাজের উপযোগী করার ব্যবস্থা করেছেন পৌর কতৃপক্ষ। বৃষ্টির মাঝেও নির্বিঘেœ নামাজ আদায়ে ১০ থেকে ১২ হাজার মুসল্লিদের সুবিধার্থে এবারো গোটা ময়দান ঢেকে দেয়া হয়েছে ত্রিপলে।

যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু জানান, বর্ষার কারণে বিগত কয়েক বছর ধরে ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করা যেত না। এজন্য নির্বাচিত হওয়ার পর গতবছর ঈদে যাতে নির্বিঘেœ ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করা যায় সেই জন্য পুরো মাঠ ত্রিপল ও সামিয়ানা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। একইসঙ্গে ব্যাপক সজ্জার উদ্যোগ নেয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এবারো নির্বিঘ্নে ঈদের নামাজ আদায়ে ৭৭ হাজার স্কয়ার ফিট ময়দানকে উপরে ফ্রেম ও ত্রিপলসহ ছামিয়ানা দিয়ে সিলিং প্রস্তুত ও পর্যাপ্ত সিলিং ফ্যান স্থাপন করা হয়েছে। নিচে নামাজ আদায়ের জায়গায় পলিথিনের উপর কার্পেট বিছানো হয়েছে। এছাড়া মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য সম্পূর্ণ মাঠ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া পুরো মাঠ লাইটিং, ফ্যান ও মাইকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, গতবছরের আগে কখনো এমন জাকজমকপূর্ণভাবে ঈদগাহ সাজনোর ব্যবস্থা করা হয়নি। এবারো আমরা মুসল্লিদের স্বস্তিতে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করেছি। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

উল্লেখ্য, বৃষ্টির পানি জমে কাদায় একাকার হওয়ায় বিগত কয়েক নামাজ আদায়ে অনুপোযুক্ত হওয়ায় জেলার প্রধান ঈদ জামাত ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়তে পারেনি মুসল্লিরা। বাধ্য ঈদগাহ সংলগ্ন সড়কে আবার কখনো কালেক্টরেট মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদের জামাত। সে বিষয়টি মাথায় রেখে যশোর পৌরসভার উদ্যোগে গতবছর গোটা ময়দান ত্রিপলে ঢেকে দেয়া হয়েছিল। মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুর এমন নন্দিত উদ্যোগ সুধি মহলে প্রশংসিত হয়। এ উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় এবারো প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে বৃষ্টির মাঝেও নির্বিঘেœ নামাজ আদায়ের উপযোগী করার ব্যবস্থা করেছেন পৌর কতৃপক্ষ।

ঈদগাহ ছাড়াও শহরের বিভিন্ন মসজিদে ঈদের জামাতের সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। যশোরের উপশহর ঈদগাহ, বাবলাতলায় ঈদের জামাত সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে, উপশহর মার্কাস মসজিদে সকাল ৮টায়, কারবালা মসজিদে প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল ৯টায়, রেলস্টেশন মসজিদ, পুলিশ লাইন মসজিদ, রেলরোড মসজিদুল আকসায় ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়, চৌরাস্তা জামে মসজিদ, বেজপাড়া তালতলা মসজিদে সকাল ৮টায়, আরএন রোড মসজিদে সকাল ৮টায় ও দড়াটানা জামে মসজিদে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। স্ব স্ব মসজিদের কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে এতথ্য জানা গেছে।