শিক্ষার্থীদের পায়ে পিষে নির্যাতন করতে দেখে মানুষ স্তম্ভিত : রিজভী

ruhul kabir rizviঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কোটা সংস্কারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের যেভাবে পা দিয়ে পিষে নিষ্ঠুর নির্যাতন করা হয়েছে, তা দেখে দেশের মানুষ স্তম্ভিত ও হতভম্ব। ছাত্রলীগের নামের সঙ্গে ছাত্র নামটি জুড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ গোটা ছাত্রসমাজকেই অপমানিত করেছে।

তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রীদের যেভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে, তা একাত্তরের হানাদার বাহিনীর নির্মমতার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়।

সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব কথা বলেন।

এই বিএনপি নেতা বলেন, ভোগ, লালসা, দাপট, খুন ও জখমের চেতনায় বর্তমান ছাত্রলীগকে গড়ে তোলা হয়েছে। তাদের নৈরাজ্যের বিভীষিকায় দেশ নিমজ্জিত।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই রক্তে রঞ্জিত। ছাত্রীদের ওপর লাঞ্ছনা ও নির্যাতনের হিড়িক আতঙ্কজনক মাত্রা লাভ করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে কুমিল্লায় করা মামলায় হাইকোর্টের দেয়া জামিন আপিল বিভাগ স্থগিত করা নজিরবিহীন ঘটনা।

‘ন্যায়বিচার পাওয়ার মানুষের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল হচ্ছে সর্বোচ্চ আদালত। জামিন পাওয়া মানুষের অধিকার। কিন্তু খালেদা জিয়াকে হাইকোর্ট জামিন দেওয়ার পর সর্বোচ্চ আদালতে তা স্থগিত করার ঘটনাটি সম্পূর্ণরূপে সরকার নির্দেশিত।’

রুহুল কবীর রিজভী বলেন, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিঘাংসার শিকার। হাইকোর্ট জামিন দিলে সে জামিন স্থগিত করা হয়, এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত করা শেখ হাসিনার হুকুমেরই বাস্তবায়ন।

আন্দোলনকারীদের প্রতি সরকারের আচরণে এটিই প্রমাণিত। শেখ হাসিনা যাদের ওপর ক্ষুব্ধ হন, তাদের ভিটেমাটিতে ঘুঘু চরিয়ে দিতে মোটেই দ্বিধা করেন না, বলেন রিজভী।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে প্রায় দুই মাস আগে জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। আসলে সেদিনই আমরা বলেছিলাম- এই ঘোষণা একটি নাটক ও ছাত্র আন্দোলনের প্রতি প্রতারণা। এখন সেটি অক্ষরে অক্ষরে দৃশ্যমান হচ্ছে।

আসলে সেদিন প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে জনরোষ থেকে বাঁচতে প্রতারণার কৌশল নিয়েছিলেন, বলেন রিজভী।