বেনাপোল পৌরসভার কৃষক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিনের নামে যশোর কোতয়ালী থানায় দুই সন্তানের জননী ধর্ষন মামলা দায়ের হয়েছে। যশোর শংকরপুর ইসহাক রোডের নীলা আক্তার বাদি হয়ে যশোর কোতয়ালী থানায় মামলাটি এজাহার ভুক্ত করেন। যার মামলা নং ৮৭ তারিখ ২৫/০৪/২০২৫। তবে আসামি জসিম উদ্দিন তার নামে মিথ্যা বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রণীত ভাবে তার শত্রুপক্ষ এধরনের মামলা করিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। এবং তার নামে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য সরবরাহের জন্য বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছে।
মামলার এজাহারে নীলা আক্তার তার লিখিত অভিযোগে বলেন, বিগত ৫ মাস আগে তার বেনাপোল পৌর সভার সাদিপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে জসিম উদ্দিন এর পরিচয় হয়। সেই সুত্র ধরে জসীম এর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ৪ মাস আগে জসিম তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে তার সাথে কয়েক দফায় শারীরীক সম্পর্ক গড়ে তোলে। সর্বশেষ গত ২০/০৪/২০২৫ ইং তারিখে যশোর শহরের রেল রোডে শাহনাজ হোটেলে তার সাথে সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত দৈহিক মিলন করে। এরপর জসীমকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে তাকে বিয়ে করতে পারবে না বলে এড়িয়ে যায়। অবশেষে সে বাধ্য হয়ে গত ২৫/০৪/২০২৫ ইং তারিখে যশোর কোতয়ালী থানায় এজাহার দাখিল করেন। সেই এজাহার সুত্রে তার নামে ধর্ষন মামলা হয়।
এদিকে জসিম উদ্দিন বলেন, আমি একজন ব্যবসায়ি । আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার প্রতি প্রতিহিংসায় ওই নারীকে দিয়ে আমার শত্রু পক্ষ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করিয়েছে। আমি বেনাপোল পৌর সভার কৃষক দলের সভাপতি। আমাকে সামাজিক ভাবে ও রাজেনৈতিক ভাবে হেয় করার জন্য এ ধরনের মামলা করে থাকতে পারে।
যশোর কোতয়ালী থানার রেল রোডের শাহনাজ হোটেলের মালিক এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন ওই তারিখে আমার হোটেলে নীলা আক্তার ও জসিম উদ্দিন নামে কারো নাম এন্ট্রি নাই। এটা একটি মিথ্যা ও সাজানো ঘটনা হয়ে থাকতে পারে।
এদিকে ভুক্তভোগি নীলা আক্তারের ০১৯৭০২৬১৮৩৭ নং কয়েক বার ফোন দিলে ও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।