ঝিনাইদহে সড়ক সংস্কারে অনিয়মের প্রতিবাদে মানবন্ধন

বসির আহাম্মেদ, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহে সড়ক সংস্কারে অনিয়মের প্রতিবাদ ও পুনরায় সংস্কারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। বুধবার সকালে শহরের পাগলাকানাই মোড় এ এলাকায় এ কর্মসূচী পালন করে ভূক্তভোগি নাগরিক সমাজ। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়।

road newsবক্তব্য রাখেন, ঝিনাইদহ জেলা কৃষক লীগের সাধারন সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদুর রহমান, স্থানীয় দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান, সাধারন সম্পাদক রাজু আহম্মেস পল্টন, সমাজকর্মী সাব্বির আহমদ, মানবাধিকার কর্মী মাহমুদুর আল হাসান সাগর, ব্যবসায়ী তাপস দত্ত, সাজেদুর রহমান, মুস্তাফিজুর রহমান, সাখাওয়াত হোসেন, আরিফ হাসান।

এসময় বক্তারা বলেন, কয়েকদিন শহরের বাস টার্মিনাল থেকে হামদহ মোড় পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার সড়কের কয়েকটি স্থান মেরামত করা হয়। যাতে ব্যায় ধরা হয় ৮৯ লাখ টাকা। সংস্কারের কয়েক দিন পরেই ইট পাথর উঠে গেছে। এখন মেরামত করা স্থানে বড় বড় গর্ত । সেখানে পনি জমেছে। সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল ঝুকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রতি নিয়ত সড়কটিতে দুর্ঘটনা ঘটছে। আহত হচ্ছে পথচারিরা। এলাকাবাসির অভিযোগ সড়কটি সংস্কারে নিন্মমানের ইট বালি পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। সেকারনে সড়কটির এ হাল হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা। এ ঘটনায় জড়িত সড়ক ও জনপদ বিভাগের স্থানীয় প্রকৌশলীসহ ঠিকাদারের বিচার দাবী করেছেন শত শত এলাকাবাসি।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগ ঝিনাইদহের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী তানভীর আহম্মেদ বলেছেন গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে জরুরী সংস্কার ও মেরামত খাতের বরাদ্দ থেকে জেলা শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ড থেকে আরাপপুর সড়ক এবং হামদহ-আরাপপুর সড়কের ১৮’শ মিটার সিলকোটসহ মেরামত করা হয়েছে। এর মধ্যে হামদহ-আরাপপুর সড়কের ৫৩৭ মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেরামতের কয়েক দিন পরেই সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ফের বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি। খুলনার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স শহিদ এন্টারপ্রাইজ কাজটি করেছেন বলে জানান তিনি।

এদিকে সড়কটি মেরামত কাজে নিয়োগ করা ঠিকাদার প্রায় এক কোটি টাকার বিল ইতোমধ্যে দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশৈলী নাজমুস ছাকিব।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগ ঝিনাইদহের নিবার্হী প্রেেকৗশলী এসএম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, সড়ক বিভাগের উদ্যোগে হামদহ-আরাপপুর সড়কের খতিগ্রস্ত এলাকায় ইট বালি দিয়ে মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্ষা শেষ হলে ফের সড়কটি মেরামত করা হবে বলে জানান তিনি।