ফেসবুকে সমালোচনার তীরে ক্ষত-বিক্ষত সাকিবরা

shakibস্পোর্টস ডেস্ক: ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে বুধবার রাতে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় বইয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো অধিনায়কত্ব থেকে সাকিবকে সরিয়ে আবারও মুশফিকের হাতে নেতৃত্বে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।

১৮ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর একজন লেখেন, সবাই যখন বিশ্বকাপ উন্মাদনায় ব্যস্ত তখন ১৮ রানেই তামিম, মুমিনুল, মুশফিক, সাকিব ও রিয়াদ আসমানে! এটা মেনে নেওয়া যায় না।

এদিন, ৯৯ মিনিটে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গে শোয়েব নামের একজন ব্যঙ্গ করে লেখেন, সবাই ৯০ মিনিট খেলে, আমরা ৯৯ মিনিট খেললেও দোষ!

আরও এক ধাপ এগিয়ে কেউ কেউ বলছেন, ‘বিশ্বসেরা খেলোয়াড় হওয়া সহজ। কিন্তু বিশ্বসেরা অধিনায়ক হওয়া কঠিন, এমপি সাহেব!’

তবে এখানেই থেমে থাকেননি তারা। এই মন্তব্যের সঙ্গে তারা সাকিবের অধিনায়কত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। তাদের দাবি, ”টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশে সফল মুশফিকুর রহিম। তার নেতৃত্বে ৩৪ টেস্টের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭টিতে জয় লাভ করেছে বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেটে মুশফিকুর রহিমকে অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চাই।”

পরিসংখ্যানও তেমনটিই বলছে। গত কয়েকবছর ধরে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের যে সাফল্য তা তো মুশফিকেরই নেতৃত্বে। অধিনায়কত্ব হারানোর আগ পর্যন্ত ৩৪টি টেস্টের নেতৃত্ব দিয়েছেন মুশফিক। এর মধ্যে ৭টিতে জয় পেয়েছে টাইগাররা। যা কোনো অধিনায়কের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংখ্যাক টেস্ট ম্যাচ জয়। অথচ সেই মুশফিককে গত বছরের ডিসেম্বরে সরিয়ে অধিনায়কত্ব করা হয় সাকিবকে।

অন্যদিকে, চলমান অ্যান্টিগা টেস্ট নিয়ে ১০টি টেস্টের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাকিব। সেখানে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জয়ের দেখা পেয়েছে কেবল একটিতে। এতে স্পষ্ট সাকিবের চেয়ে ঢের নেতৃত্বগুণ বেশি মুশফিকের। তাছাড়া দলের বিপর্যয়ে যেখানে সাকিব তার নিজের স্বাভাবিক খেলা চালিয়ে যান, সেখানে মুশফিক নির্ভরতার প্রতীক হয়ে ক্রিজে দাঁড়িয়ে থাকেন।

তবে, ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে সাকিবের তুলনা হয় না। নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও টেস্টের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের তালিকায় প্রথম নামটা এখনও সাকিবেরই।