যশোর জেনারেল হাসপাতালের আল্ট্রাসনো বিভাগে তালা লাগিয়ে হজ্ব গমনেচ্ছুদের প্রতিবাদ

jessore sador hospitalস্টাফ রিপোর্টার: যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আল্ট্রাসনো রুমে চিকিৎসক ও কর্মচারীদের না পেয়ে আগত রোগীরা প্রতিবাদ করে আধা ঘণ্টা মতো দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। পরে তত্ত্বাবধায়ক এসে রোগীদের শান্ত করলে তালা খুলে দেওয়া হয়।

জানা যায়, হজ গমনেচ্ছুদের অনেকে ও অন্যান্য রোগে আক্রান্তরা হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য আসেন। কিন্তু আল্ট্রাসনো রুমে দায়িত্বরত চিকিৎসক সাজ্জাদ কামালসহ কর্মচারীরা ছিল না বলে রোগীরা অভিযোগ করেন।

বিশেষ করে হজ্ব যাত্রার পূর্ব প্রস্তুতির জন্য মঙ্গলবার সকালে যশোর সিভিল সার্জন অফিস থেকে শারীরিক পরীক্ষা ও সনদপত্র সংগ্রহের জন্য সকাল ৯টায় হাসপাতালে যান হজ্ব গমনেচ্ছুরা। কিন্তু ইসিজি বিভাগে চিকিৎসক না থাকায় রুমের সামনে ভিড় জমে। অপেক্ষার বাধ ভেঙ্গে যাওয়ায় রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে চিল্লাপাল্লা শুরু হয়। কেউ কেউ রুমে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার কথা উচ্চারণ করেন। এক পর্যায়ে রুমের দরজায় তালা লাগিয়ে ডাক্তারের পূর্বের অনিয়মের প্রসঙ্গ তোলা হয়। আল্ট্রাসনো রুমে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার খবর হাসপাতাল জুড়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

একাধিক লোকজন অভিযোগ করেছেন, হাসপাতালের রেডিওলোজিস্ট ডা. সাজ্জাদ কামাল নিজের খেয়াল খুশি মত অফিস করেন। যোগদানের পর থেকে কোন দিন ১০টার আগে অফিসে আসেননি। বিষয়টি রোগীরা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদের কাছে অভিযোগ করেও কোন ফল পাননি।
অভিযুক্ত চিকিৎসক সাজ্জাদ কামাল বলেন, তিনি বাইরে ছিলেন। এজন্য মঙ্গলবার আসতে দেরি হয়েছে।

হাসপাতালে পরীক্ষা করতে আসা হজ্ব গমনেচ্ছু রেজাউল ইসলাম জানিয়েছেন, সোমবার তিনি হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য আসেন। কিন্তু ওই দিন দুপুর হয়ে যাওয়ার কারণে রিপোর্ট হাতে পাননি। পরে মঙ্গলবার রিপোর্টটি নিতে এসে ভোগান্তিতে পড়েন। এ ব্যাপারে টেকনিশিয়ান মৃত্যুঞ্জয় জানান, আল্ট্রাসনো বিভাগে থাকা হজ্ব গমনেচ্ছুরা একটু ক্ষুব্ধ মনোভাব ব্যক্ত করেছিলেন। পরে সমাধান হয়ে গেছে।

জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, সামান্য বিষয় নিয়ে হজ্ব গমনেচ্ছুরা আল্ট্রাসনো বিভাগের দরজা বন্ধ করে রাখেন। তিনি এসে রোগীদের সাথে কথা বলে সমাধান করেছেন।