ফ্রান্স-ক্রোয়াট ফাইনালের যত রেকর্ড

france croatiaস্পোর্টস ডেস্ক: রাশিয়া বিশ্বকাপের রোমাঞ্চকর ফাইনাল জায়গা করে নিয়েছে ইতিহাসের পাতায়। খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জেতা তৃতীয় খেলোয়াড় হলেন ফ্রান্সের দিদিয়ের দেশম। ৫২ বছরে বিশ্বকাপের ফাইনালে হলো সবচেয়ে বেশি গোল। ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়া ফাইনাল ম্যাচে এমনই আরো কিছু রেকর্ড হয়েছে যা নিচে তুলে ধরা হলো:

ষষ্ঠ দল হিসেবে একাধিকবার বিশ্বকাপ জেতার রেকর্ড গড়লো ফ্রান্স। এর আগে ব্রাজিল (৫ বার), জার্মানি (৪ বার), ইতালি (৪ বার), আর্জেন্টিনা (২ বার) ও উরুগুয়ে (২ বার) বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে। একবার করে বিশ্বকাপ জিতেছে ইংল্যান্ড ও স্পেন।

খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জেতা তৃতীয় ব্যক্তি হলেন ফ্রান্সের দিদিয়ের দেশম।
এর আগে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন ব্রাজিলের মারিও জাগালো ও জার্মানির ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার। ১৯৫৮ ও ১৯৬২ বিশ্বকাপে শিরোপার স্বাদ নেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার জাগালো। আর ১৯৭০-এ কোচ জাগালোর অধীনে বিশ্বকাপ শিরোপা কুড়ায় ব্রাজিল। জার্মান ডিফেন্ডার বেকেনবাওয়ার বিশ্বকাপ শিরোপার স্বাদ নেন ১৯৭৪’র আসরে। আর ১৯৯০-এ শিরোপা জেতে কোচ বেকেনবাওয়ারের পশ্চিম জার্মানি।

৩৮ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে ৪ গোল করলো কোনো দল। এর আগে ১৯৭০’র বিশ্বকাপের ফাইনালে ইতালিকে ৪-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জেতে ব্রাজিল।

১৯৬৬’র আসরের পর প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে ৬ গোল দেখলো ফুটবলভক্তরা। সেবার জার্মানিকে ৪-২ গোলে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড।

১৯৭৪’র বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের পর ক্রোয়েশিয়া হলো প্রথম দল, যারা প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে হার দেখলো। ওই আসরের ফাইনালে জার্মানির কাছে ২-১ গোলে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হয় ডাচদের।

বিশ্বকাপের ফাইনালে আত্মঘাতী গোল করা প্রথম খেলোয়াড় হলেন ক্রোয়েশিয়ার মারিও মানজুকিচ।

বিশ্বকাপের ফাইনালে দ্বিতীয় কনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে গোল করলেন ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পে (১৯ বছর ২০৭ দিন)। এমন ম্যাচে গোল করা সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড়ের রেকর্ডটি ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলের। ১৯৫৮ আসরের ফাইনালে গোলের কৃতিত্ব দেখান ১৭ বছর ২৪৯ দিন বয়সী পেলে।

ফ্রান্সের হয়ে বড় টুর্নামেন্টগুলোতে ১০ গোল পেয়েছেন ফরোয়ার্ড আন্তোইন গ্রিজম্যান। ফরাসিদের হয়ে এর আগে এই কৃতিত্ব রয়েছে মাত্র তিনজনের। তারা হলেন মিশেল প্লাতিনি (১৪), জাস্ট ফন্টেইন (১৩) ও থিয়েরি অঁরি (১২)।

ক্রোয়েশিয়ার হয়ে বড় আসরগুলোতে সবচেয়ে বেশি ১১ গোলে সরাসরি অবদান রাখেন ইভান পেরিসিচ। এর মধ্যে তিনি নিজে করেন ৭ গোল ও তার চারটি অ্যাসিস্ট ।

বিশ্বকাপের ফাইনালে এক গোল করা ও প্রতিপক্ষকে এক পেনাল্টি দেয়া দ্বিতীয় খেলোয়াড় হলেন ক্রোয়েশিয়ার পেরিসিচ। এর আগে ২০০৬ সালে ইতালির মার্কো মাতারাজ্জি এমন নজির গড়েন।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে একই ম্যাচে নিজ দলের হয়ে একটি গোল ও একটি আত্মঘাতী গোল করা দ্বিতীয় খেলোয়াড় হলেন মানজুকিচ। ১৯৭৮ বিশ্বকাপে ইতালির বিপক্ষে এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল নেদারল্যান্ডসের এরনি ব্রান্টসের।

বিশ্বকাপ ও ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে গোল করা পঞ্চম খেলোয়াড় হলেন মারিও মানজুকিচ। এই কৃতিত্বের অধিকারী অপর চারজন হলেন- হাঙ্গেরির ফ্রাঙ্ক পুসকাস, জুলতান জিবর, জার্মানির জার্ড মুলার ও ফ্রান্সের জিনেদিন জিদান।

ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে গোলের কৃতিত্ব দেখালেন ফরাসি মিডফিল্ডার পল পগবা।