যশোরে বৃদ্ধাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ, ধর্ষক আটক

jessore newsস্টাফ রিপোর্টার: যশোরে মেহেরুন নেছা নামে এক বৃদ্ধা নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে ইরাদ আলী নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেরুন নেছা একই গ্রামের মতলেব হোসেন খানের স্ত্রী।

এলাকাবাসী ও বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ হায়াৎ মাহমুদ জানান, সোমবার দুপুরে ইরাদত খান প্রতিবেশী মতলেব খানের স্ত্রী মেহেরুননেছাকে ভাত রান্না করার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নেয়। এরপর বিকেল থেকে ওই বৃদ্ধাকে খুঁজে না পাওয়ায় প্রতিবেশীরা ইরাদতকে সন্দেহ করেন। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকে। এতে উত্তেজিত হয়ে জনতা তাকে মারপিট করে। মারপিটের এক পর্যায়ে সে স্বীকার করে যে, মেহেরুননেছার লাশ তাদের রান্নাঘরের প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে রয়েছে। স্থানীয় লোকজন ওই প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে থেকে মেহেরুননেছার লাশ উদ্ধার করে। এসময় তারা বসুন্দিয়া ফাঁড়ি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইরাদত খানকে আটক করে বসুন্দিয়া মোড়ের ডা. আব্দুল হাইয়ের কাছ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হেফাজতে নেয়।

উল্লেখ্য কয়েক বছর আগে ইরাদসহ গ্রামের আরো ২/৩জন যুবক সুরাইয়া খাতুন নামে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। ওই ঘটনায় ইরাদ পুলিশের কাছে আটক হলে সুরাইয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। এঘটনার মামলায় ইরাদ কয়েকমাস হাজত বাস করেছে। এদিন মেহেরুন নেছাকে ধর্ষণ চেষ্টা ও হত্যার ইরাদের দ্বিতীয় ঘটনা। এদিন তাকের আটকের পর স্থানীয়রা গণ ধোলাই দিয়েছে।

বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই হায়াত মাহমুদ খান আরো জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ইরাদ পুলিশের কাছে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।