বিএনপির নির্বাচনী সভায় ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৬

রাজশাহী: রাজশাহী বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের গণসংযোগস্থলে পরপর তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে একজন সাংবাদিকসহ ছয়জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে নগরীর সাগরপাড়া বটতলা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- তিন বিএনপিকর্মী কালু, হাবিব ও খোকন। এছাড়া স্থানীয় কর্মকার তপনও আহত হয়। অন্যদিকে দায়িত্ব পালনের সময় বাংলাভিশনের রাজশাহীর রিপোর্টার পরিতোষ চৌধুরী আদিত্যও চোখে আঘাত পেয়েছেন।

আহত আরও একজন অজ্ঞাত পথচারির নাম জানা যায়নি। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে এ বিস্ফোরণ ও হামলার জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও রাসিকের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের লোকদের দায়ী করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পৌনে ১১টার দিকে নগরীর সাগরপাড়া বটতলা এলাকায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে পথসভা করছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রূহুল কুদ্দুশ তালুকদার দুলু ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু, সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টু এবং জেলা ছাত্রদল সভাপতি রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনি।

বিএনপি নেতা রূহুল কুদ্দুশ দুলু বক্তব্য দেয়ার সময় তিনটি মোটরসাইকেলে ছয়জন দুর্বৃত্ত মুখোশ পরা অবস্থায় ঘটনাস্থলে এসে দূর থেকে পরপর তিনটি ককটেল ছুড়ে মারে। ককটেলগুলো বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় এবং এতে ৬ জন আহত হয়েছেন।

হামলাকারীরা ককটেল ছুড়ে দিয়েই টিকাপাড়া সড়ক দিয়ে পূর্বদিকে চলে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

এ ঘটনার পরপরই মিনু সাংবাদিকদের বলেন, ক্ষমতাসীন দলের মেয়র প্রার্থীর পরাজয় নিশ্চিত জেনেই তারা নির্বাচনী পরিবেশকে কলুষিত করতে ও ভোটারদের মনে ভীতির সঞ্চার করতেই পরিকল্পিতভাবে ককটেল হামলা চালিয়েছে। তারা বিএনপির নির্বাচনী সভা ভণ্ডুল করে দিয়েছে।

অন্যদিকে এই ঘটনাকে বিএনপির সাজানো নাটক উল্লেখ করে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, বিএনপির জঙ্গি পৃষ্টপোষক নেতারা বিএনপির প্রার্থীর প্রচারণায় এসে রাজশাহীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে বিনষ্ট করতে চায়।

তিনি এ ব্যাপারে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি করেন।

এদিকে এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি আমান উল্লাহ যুগান্তরকে বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের আগে এ ব্যাপারে কোনো কিছু বলা সম্ভব নয়।