স্পোর্টস ডেস্ক: গায়ানার মাঠ ও কন্ডিশন বাংলাদেশের অনুকূলে ছিল। ওই মাঠে সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের দিকে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে জয় হাতের মুঠোয় এসেও ফসকে যায়। না হলে ওইদিনই সিরিজ নিজেদের করে নিতে পারত মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার দল। শনিবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। এবার ভেন্যু সেন্ট কিটসের বাসেটেরের ওয়ার্নার পার্ক। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে সিরিজ নির্ধারনী এই ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
গায়ানার মতো ওয়ার্নার পার্কের মাঠ স্পিন বান্ধব নয়। তবে এই মাঠেও বাংলাদেশের জন্য অনুপ্রেরণার ইতিহাস আছে। এর আগে এই মাঠে দুইবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেছিল বাংলাদেশ। প্রথমবার ২০০৯ সালে, সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে। ৩১ জুলাইর ওই ম্যাচটি ৩ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচসেরা হয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। সাকিব-মাহমুদউল্লাহ ছাড়াও ওই একাদশে ছিলেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীমও। ২০১৪ সালের দ্বিতীয়বার ক্যারিবিয়দের মুখোমুখি হয় টাইগাররা। সেবার বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মুশফিক। তবে ৯১ রানের বড় হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল মুশফিক বাহিনীকে।
এবার বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা অধিনায়ক মাশরাফীর নেতৃত্বে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ফর্মে আছেন সব সেরা খেলোয়াড়ই। প্রত্যেকেই যদি নিজের সেরাটা দিয়ে খেলতে পারেন তবে সিরিজ জয় মোটেও অসম্ভব নয়। এদিকে বাংলাদেশের জন্য কিছুটা সুসংবাদ আন্দ্রে রাসেলের ইনজুরি। হাঁটুর ইনজুরির কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল থেকে ছিটকে পড়েছেন এই অল রাউন্ডার। তার বদলে মাঠে নামবেন ডানহাতি পেসার শেলডন কটরেল।
তবে বাংলাদেশের জন্য শঙ্কা খেলোয়াড়দের ফর্ম নয়, ভুলের পুনরাবৃত্তি। গেল ম্যাচেই জয় হাতছাড়া হয়েছে শুধুমাত্র ভুলের জন্য। শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৯ রানের। স্ট্রাইকে তখন মুশফিকের মতো পরিক্ষিত ব্যাটসম্যান। কিন্তু তিনি কিনা প্রথম বলেই ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে ড্রেসিংরুমের পথ ধরলেন। যে কাণ্ড তিনি এর আগেও বেশ কবার করেছিলেন। এছাড়া ফিল্ডিংয়েও দুর্বলতা রয়ে গেছে বেশ। বুধবার ম্যাচ শেষে অধিনায়কের কণ্ঠেও ফিল্ডিং নিয়ে দেখা গিয়েছিল অসন্তোষ।
সেন্ট কিটসের এই মাঠটি ব্যাটিং বান্ধব। মাঠে দুই পাশের পরিধি কিছুটা ছোট হওয়ায় সহজের বাউন্ডারি পাওয়া যায়। ফলে ব্যাটসম্যানদের জ্বলে ওঠা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই মাঠের ইতিহাস বলছে ব্যাটিং বান্ধব এই উইকেটে রান তাড়া করে জয় কিছুটা কষ্টকর। তাই আগে ব্যাট করে যতটা সম্ভব বড় রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে হবে প্রতিপক্ষকে। অবশ্য তার জন্য প্রয়োজন টস ভাগ্য।
বারবার একই ভুলে হারের হতাশা সত্ত্বেও সিরিজ জয়ের বিষয়ে আশাবাদী মাশরাফী। জানিয়েছিলেন ভুলগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলে জয় সম্ভব। কিন্তু টাইগাররা কি পারবে ভুলের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে সিরিজ জয় করে নিতে? জানা যাবে কাল ভোর হওয়ার আগেই।