স্টাফ রিপোর্টার, যশোর: যশোরের নতুন উপশহরে গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনা বেক্ষন (টি, আর-নগদ অর্থ) কর্মসূচির আওতায় প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের টাকা হরিলুট হয়েছে। কাজ না করে ৪টি প্রকল্পের প্রথম কিস্তির চেকের টাকা ইতিমধ্যে তুলে নেয়া হয়েছে।
যশোর সদর উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, এমপি কাজি নাবিল আহমেদের মাধ্যমে সরকার প্রতিবছর এপ্রকল্পের টাকা বরাদ্দ করে গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনা বেক্ষনের জন্য। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দলীয় নেতাকর্মীরা এসব প্রকল্প বরাদ্দ পায়। এবছর দ্বিতীয় পর্যায়ে নতুন উপশহর এলাকায় ৪টি প্রকল্প বরাদ্দ হয়েছে। প্রকল্প গুলি হচ্ছে উপশহর ইউনিয়নের সি ব্লক ১ নং ও ৩ নং লাইনের রাস্তা সংস্কার। টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ৪০ হাজার। বি-ব্লক মসজিদের পিছনে কাচা রাস্তা সংস্কার, টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ৪০ হাজার। ই-ব্লক নুরু হুজুরের বাড়ির সামনে হতে রকিব মোস্তফার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা উন্নয়ন, টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ৪০ হাজার ও উপশহর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মাটি ভরাটের কাজ, টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ১ লাখ টাকা। কিন্তু এসব প্রকল্পের কোনটির কাজ হয়নি।
সূত্রটি জানিয়েছে, নিয়মানুযায়ি প্রকল্পের কাজের চেক পাওয়ার পর ১০ দিনের মধ্যে কাজ শুরু করতে হয়। কিন্তু চেক পাওয়ার পর আজ প্রায় ১৫ দিনের বেশি অতিবাহিত হলেও কোন কাজ করা হয়নি। এলাকাবাসি অভিযোগ করেছে, যাদরে নামে প্রকল্প বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তারা সবাই আওয়ামী ও যুবলীগের নেতা কর্মী।
ইতিমধ্যে প্রকল্প বরাদ্দ প্রাপ্তরা চেকের প্রথম কিস্তির টাকা তুলে নিয়ে আত্মস্মাত করেছে। এব্যাপারে এলাকাবাসি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এর আগে ’১৭ সালে উপশহর ই-ব্লক মসজিদের পাশে ড্রেন সংস্কারের কাজের জন্য ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। ওই সময় মাত্র ৩০ হাজার টাকার কাজ করা হয়। আর ২ লাখ ৩০ হাজার টাকার মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা টাকা বন্টন করার কথা বলে ২ লাখ টাকা নিজে আত্মস্মাত করে। বাকি ৩০ হাজার টাকা প্রজেক্টের সভাপতি/সম্পাদকসহ নেতাকর্মীদের মধ্যে বন্টন করে দেয়।