বিশেষ প্রতিনিধি, যশোর: সাত কার্যদিবস পার হওয়ার পারও যশোর উপশহর মহিলা ডিগ্রি কলেজে ইংরেজি বিভাগের প্রধান সহকারি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের তদন্ত প্রতিবেদন এখনও দাখিল করা হয়নি।
প্রতিবেদন জমা দিতে কমিটির সদস্যরা গড়িমসি শুরু করেছেন। এ সুযোগে গোলাম মোস্তফা বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করতে জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অনেকে অভিযোগ করে বলেছেন, গোলাম মোস্তফা পূর্বে অনেক বড় বড় অনিয়ম করেছেন। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে রয়েছে- তিনি পিএইচডি কোর্স করার নাম করে দুই বছরের অধিক সময় ছুটিতে ছিলেন। অথচ তিনি পিএইচডি কোর্স না করে বিনা কারণে তিনি ছুটি কাটিয়ে বেতন উত্তোলন করেছেন। আর একবার কলেজ ফান্ড থেকে দুই লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার নাম করে সেই টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রচার করেন প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে টাকা খুয়া গেছে। এসব বড় বড় ঘটনা নিয়ে সেই সময় তদন্ত কমিটি হয়েছে। কিন্তু এতে তার কোন সমস্যা হয়নি। এভাবে বার বার তিনি পার পেয়ে গেছেন। তাই এবারও তার কিছুই হবে না বলে তিনি বিভিন্ন জায়গায় হুংকার ছাড়ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ জুলাই কলেজের স্টাফ কাউন্সিলের অভ্যন্তরীন মির্টিংয়ে এমপিও ও ননএমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নিয়ে আলোচনা হয়। এতে সহকারী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা গর্ভনিংবডির সভাপতি অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে উদ্দেশ্যে করে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। লিখিতভাবে এ ঘটনার বিস্তারিত জানতে গত ১৯ জুলাই অধ্যক্ষ বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর হারুন-অর-রশিদ উপাধ্যক্ষ ড. শাহানাজ পারভীনকে আহবায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করেন নির্দেশ দেন। অথচ এ সময় পার হওয়ার পরও প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি।
এ বিষয়ে আহবায়ক ড. শাহানাজ পারভীন বলেন, তদন্ত কমিটির সদস্য রেজাউল ইসলাম বিন্দু ঢাকায় অবস্থান করায় প্রতিবেদন দাখিল করা সম্ভব হয়নি। সময় বাড়ানো হয়েছে। আশা করা যায় ২ আগষ্টের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।