বেনাপোল প্রতিনিধি: বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা ক্যাম্পের বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ বিজিবি বেপরোয়া হয়ে সীমান্তের নিরীহ মানুষকে ধরে ফেনসিডিল দিয়ে চালান দেওয়ার অভিযোগ করে মানব বন্ধন করেছে গ্রামবাসী।
শুক্রবার বেলা ১১ টার সময় বিজিবির অত্যাচার ও নিরীহ মানুষকে ধরে ফেনসিডিল দিয়ে চালান দেওয়ার অভিযোগে করে গ্রামের নারী পুরুষ মানববন্ধন করে।
ধান্যখোলা গ্রামবাসী জানায় বুধবার রাত্রে ধান্যখোলা মাদ্রাসার শিক্ষক (লাইব্রেরিয়ান) ইমরান হোসেনকে রাস্তা থেকে ধরে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এরপর ভোরবেলা ইমরানকে নিয়ে এসে ধান্যখোলা গ্রামের মাঝেরপাড়া রাস্তার পাশের থেকে একটি বস্তা উদ্ধার করে এলাকার মেম্বার হাসান আলীকে ডেকে বলে ইমরানের শিকারোক্তি অনুযায়ী ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলে, রাত্রে ঐ জায়গা থেকে ইমরানকে ধরে নিয়ে যায়। তখন তার কাছে কোন ফেনসিডিল পায়নি বিজিবি। এছাড়া সে এলাকার মাদ্রাসার একজন শিক্ষক। তার নামে আগে পরে কোন অভিযোগ নাই। রাতে ইমরান বেনাপোলে এমপির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের জন্য জনগনকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে কয়েকজনের সাথে কথা বলার সময় তাকে বিজিবি ধরে নিয়ে ক্যাম্পে যায়। এরপর ভোরবেলা এলাকার লোকজনকে ঘুম থেকে ডেকে বলে ইমরানের কথামত এখানে ফেনসিডিল পাওয়া গেছে। গ্রামবাসী এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মানববন্ধন ও অহেতুক নিরীহ মানুষকে হয়রানীর অভিযোগ করে।
এ ব্যাপারে ধান্যখোলা ক্যাম্পের সুবেদার সফি বলেন, আমরা গভীর রাতে রাস্তায় লোকজন দেখে লাইট মারলে তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন আমরা ধান্যখোলা গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে ইমরানকে ধরে ক্যাম্পে নিয়ে আসি। ক্যাম্পে এনে তার শিকারোক্তি অনুযায়ী ধান্যখোলা মাঝেরপাড়া রাস্তার উপর থেকে ফেনসিডিল উদ্ধার করি। পরে ফেনসিডিল গুনে বস্তার ভিতর থেকে ২০০ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায়।