পুলিশের উপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে দুই মামলায় বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট, নর্থসাউথ, সাউথইস্ট ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ শিক্ষার্থীকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার আসামিদের মধ্যে ২০ জনের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে এবং দুই জনের জামিনের আবেদনের শুনানি রবিবার ধার্য করে কারাগারে পাঠানোর এই আদেশ দেন।
বাড্ডা থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জুলহাস মিয়া ও ভাটারা থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাসান মাসুদ দুই দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
রাজধানীর বাড্ডা ও ভাটারা থানার এ দুই মামলায় ঢাকা আইনজীবী সমিতির আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান হওলাদারসহ প্রমুখ আইনজীবী ২০ জন আসামির পক্ষে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ২০ আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে এবং অপর দুই আসামির পক্ষে রবিবার জামিন আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জামিন আবেদনের শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, আসামিরা সবাই ছাত্র হলেও এজাহারে সেটা উল্লেখ করা হয়নি। ঘটনার দিন যারা মার খেলো তারাই আসামি হলো।
কারাগারে যাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- রিসালাতুন ফেরদৌস, রেদোয়ান আহম্মেদ, রাশেদুল ইসলাম, বায়েজিদ, মুশফিকুর রহমান, ইফতেখার আহম্মেদ, রেজা রিফাত আখলাক, এএইচএম খালিদ রেজা ওরফে তন্ময়, তরিকুল ইসলাম, নূর মোহাম্মদ, সীমান্ত সরকার, ইকতিদার হোসেন, জাহিদুল হক ও হাসান, আজিজুল করিম অন্তর, সামাদ মর্তুজা বিন আহাদ, ফয়েজ আহম্মেদ আদনান, সাবের আহম্মেদ উল্লাস, মেহেদী হাসান, শিহাব শাহরিয়ার, সাখাওয়াত হোসেন নিঝুম ও আমিনুল এহসান বায়েজিদ।
এদের মধ্যে প্রথম ১৪ জন বাড্ডা থানার মামলায় এবং শেষের ৮ জন ভাটারা থানার মামলার আসামি। এর আগে গত ৭ আগস্ট ২২ আসামির দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
বাড্ডা থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জুলহাস মিয়ার দাবি, গত ৬ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আফতাবনগর মেইন গেটের রাস্তায় যান চলাচলে বাধা দেন। লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল দিয়ে রাস্তার গাড়ি ভাঙচুর করেন। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর আক্রমণ করেন আসামিরা।
অন্যদিকে ভাটারা থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাসান মাসুদের দাবি, আসামিরা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অ্যাপোলো হাসপাতাল ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় লোহার রড, লোহার পাইপ ও ইট দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেন। আসামিরা বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলের আশপাশের দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসার দরজা, জানালা ভাঙচুর করেন।