কলারোয়ায় ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের এক শিক্ষার্থীকে অপহরন ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।

এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার দুপুরে অপহরণের শিকার শিক্ষার্থী মো. ওসমান আলীর পিতা আজগর আলী বাদী হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ সাতজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও অজ্ঞাত আরো চার-পাঁচজনকে আসামি করে কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

দায়েরকৃত মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত রোববার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ডিবির ওসি পরিচয় দিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো: আবু সাইদের নেতৃত্বে স্থানীয় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের উল্লেখিত নেতাকর্মীরা উপজেলার পাইকগাড়া গ্রামের সাতক্ষীরা সিটি কলেজের ছাত্র মো. ওসমান আলী দালালকে তার বাড়ির সামনে থেকে জোরপূর্বক চোখ, মুখ ও হাত বেঁধে মটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়।

ঘটনার কয়েক ঘন্টা পর পাইকপাড়া গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা শাহিন গায়েন এক লাখ টাকার বিনিময়ে ওসমানকে ছাড়িয়ে দিতে পারবে বললে ওসমানের পিতা আজগর নগদ ৩৫ হাজার টাকা দেন।

বাকী টাকা পাঁচদিনের মধ্যে পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে দিতে অনুরোধ করেন।

এরপর ৬ আগষ্ট ভোর ৬টায় ছেলে আহত অবস্থায় বাড়িতে ফিরে এলে তিনি বিস্তারিত ঘটনা জানতে পারেন।

মামলার এজাহারভুক্ত আসামীরা হলেন, উপজেলার যুগিখালী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কর্মী মঈন উদ্দীন জামান ওরফে টাইফুন (২৪), জালালাবাদ গ্রামের মো: গোলাম রহমানের ছেলে ডিবির ওসি পরিচয়দানকারী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো: আবু সাইদ (২৭), পাইকপাড়া গ্রামের আ: গোলাপ গায়েনের ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা মো: শাহিন গায়েন (২৫), আব্দুল জলিল মেম্বরের ছেলে মো: সোহাগ (২৫), মৃত, ছাত্তার শেখের ছেলে মো: সইল উদ্দীন (২৫), আকরাম সরদারের ছেলে আনারুল সরদার (২৫) ও ওজিয়ার দালালের ছেলে আব্দুল করিম(২৫)।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের সভাপতি মো: আবু সাইদ জানান, আমি রাজনৈতিক কোন্দলের শিকার। মো. ওসমান থানা ছাত্রশিবিরের সাধারন সম্পাদক। আমাদের দলীয় কিছু কর্মী তাকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে বলে আমি জানি। এর বেশি আমি আর কিছুই জানিনা। পরবর্তীতে শুনেছি আমার নামেই মামলা দায়ের হয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান ছাত্রলীগে সন্ত্রাসবাদের স্থান নেই মন্তব্য করে জানান, থানায় মামলা হওয়ার পর ঘটনাটি আমরা শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করা হবে। ঘটনার সত্যতা পেলে এ ব্যাপারে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কলারোয়া থানার ওসি মারুফ আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই সিন্ডিকেট সদস্যদের ধরতে আমরা গোপনে অভিযান চালিয়ে মামালার আসামি মইন উদ্দীন জামান ওরফে টাইফুনকে আটক করেছি।

আদালতে সে ১৬৪ ধারায় ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। বাকি অপরাধীদের গ্রেফতার করতে বিশেষ অভিযানে নেমেছে পুলিশ।