বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা মমতা চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পেয়েছিলেন। আগামী সেপ্টেম্বরে মুক্তি পেতে যাচ্ছে তাঁর অভিনীত ‘সুই ধাগা’। এ ছবির ট্রেইলার মুক্তি পেয়েছে। ছবিতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন বরুণ ধাওয়ান।
সোমবার ‘সুই ধাগা’ চলচ্চিত্রের ট্রেইলার মুক্তির অনুষ্ঠানে আনুশকা উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন সহ-অভিনেতা বরুণ ধাওয়ান, পরিচালক-চিত্রনাট্যকার শরৎ কাটারিয়া এবং প্রযোজক মনীষ শর্মা। এ অভিনেত্রী বলেন, চিত্রনাট্য তাঁর ভালো লাগা সত্ত্বেও মমতা চরিত্রে অভিনয় করতে চাননি। খবর মিড ডের।
‘যখন স্ক্রিপ্ট নিয়ে শরৎ আমার কাছে এলেন, পড়ে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলাম। আমি তাঁর আগের ছবিটি দেখেছি। ভালো লেগেছিল। যখন আমি এটি পড়ি, চিত্রনাট্য ও গল্প নিয়ে তাঁরা যা করতে চেয়েছিলেন, তার প্রেমে পড়েছিলাম। আরো পছন্দ করেছিলাম এ কারণে, যশরাজ এ ছবি বানাতে যাচ্ছেন। কিন্তু এখনো বলছি, প্রথমে আমি না করেছিলাম।’
‘আমি বুঝতে পারছিলাম না কীভাবে আমি এ চরিত্রে অভিনয় করব। অভিনেতা হিসেবে আমি সব সময় চ্যালেঞ্জ নিয়েছি, কিন্তু এটা ছিল আমার চরিত্রের বাইরের। তাই আমি ভয় পেয়েছিলাম এবং তাঁকে বলেছিলাম, আমি এ চরিত্রে অভিনয় করতে পারব না’, বলেন আনুশকা।
আনুশকা আরো বলেন, এ ছবিতে অভিনয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন একমাত্র এ কারণে যে, পরিচালক ও প্রযোজক তাঁর ওপর আস্থা রেখেছিলেন। ‘মণীষ ও শরৎ জোরের সঙ্গে আশ্বস্ত করেছিলেন যে আমিই সঠিক এই চরিত্রের জন্য। এমনকি শরৎ আমার বাসায় এসেছিলেন এবং আমাকে বলেছেন চরিত্রটিকে তিনি কীভাবে দেখেন এবং কেন আমি এর জন্য উপযুক্ত।’
বলিউড এ তারকা বলেন, ‘সত্যি বলতে কি, আমার বিশ্বাসের চেয়েও তাঁর বিশ্বাস আমি ধারণ করেছিলাম। এ ছবিতে অভিনয় করতে পেরে আমি খুব খুশি এবং গর্বিত যে আমি ওই চরিত্রে অভিনয় করতে পেরেছি।’
ছবিতে বুনন শেখার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাইলে আনুশকা বলেন, ‘এমব্রয়ডারি করার সময় খুব মজা করেছি। আমার দাদি এমব্রয়ডারি করতেন, এমনকি আমার মা-ও তা জানতেন। যখন আমি শুরু করলাম, তখন ওই স্মৃতিগুলো মনে পড়ছিল।’
ভারতের বুননশিল্পী ও পোশাককর্মীদের নিয়ে ‘সুই ধাগা’ ছবির গল্প। সেখানে আনুশকাকে একেবারেই সাদামাটা বুননশিল্পীর চরিত্রে দেখা যাবে, নাম মমতা। আনুশকার সঙ্গে দেখা যাবে বরুণ ধাওয়ানকে, নাম মাউজি। তিনি দর্জির চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
এর আগে একবার বরুণ তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছিলেন, গান্ধীজি থেকে মোদিজি, দেশের নেতারা সব সময় মেক ইন ইন্ডিয়া মন্ত্রকে সমর্থন করে এসেছেন। ‘সুই ধাগা’ ছবির মাধ্যমে তিনি তাঁদের ওই বার্তা কোটি কোটি সিনেমাপ্রেমীর মধ্যে পৌঁছে দিতে চান।