ভক্তকে ফিরিয়ে দিলেন পাষাণ-হৃদয় মেসি!

ভক্তদের অনেক আবদার মেটাতে হয় আর্জেন্টাইন বার্সেলোনা তারকা লিওনেল মেসিকে। তবে এবার এক ভক্তকে ফিরিয়ে দিলেন তিনি। রোজারিও সেন্ট্রালের এক জার্সিতে মেসির অটোগ্রাফ চেয়েছিলেন সেই ভক্ত। তবে, মেসি যে রোজারিও সেন্ট্রালের চিরপ্রতিপক্ষ নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজের আজীবন সমর্থক! সেখানেই বেঁধেছে বিপত্তি।

আসলে ব্যাপারটি দাঁড়িয়েছে, লিওনেল মেসির কাছে রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি নিয়ে গিয়ে অটোগ্রাফ চাইবার মতো। বুয়েনস এয়ারসের বাইরে সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হলো নিউওয়েলস এবং রোজারিও। তবে মূল কথাটি হলো, লিওনেল মেসির হাতেখড়ি এই নিউওয়েলসেই! তাতেই ঘটনার গুরুত্ব বেড়েছে। ২০০১ সালে বার্সেলোনায় যোগদানের আগে মেসি ছয় বছর লিউওয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে খেলেছিলেন। যাই হোক না কেন, ভক্ত যে ভগ্ন হৃদয়ে ফিরে গেছেন, তা জানাতে ভুল করেননি তিনি। সাংবাদিক জুয়ান আরাঙ্গোর মতে, সেই ভক্ত মেসিকে ‘পাষাণ হৃদয়’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন। মেসির মতো খেলোয়াড়, যিনি ফুটবলে পাঁচবার ব্যালন-ডি-অরের মতো পুরস্কার জিতেছেন, তাঁকে হৃদয়হীন বলা একটু অস্বাভাবিকই শোনায়।

অতীতে অবশ্য নিউওয়েলস ক্লাবের সহসভাপতি ক্রিশ্চিয়ান ডি’অ্যামিকো ক্লাবের অন্যতম সেরা পূর্বসূরিকে তাঁর বাল্যকালের ক্লাবে ফিরিয়ে আনতে আগ্রহী। তিনি বলেন, ‘আমি আমার সঙ্গীদের মতো বিশ্বাস করি, আমরা যদি বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়কে আমাদের ক্লাবের জার্সিতে আনতে পারি, আমরা ক্লাব হিসেবে ইতিহাস গড়তে পারব। মেসিকে আমাদের জার্সিতে দেখার আনন্দ আমরা পাব বলে আমি মনে করি। কল্পনা করুন তো, মেসি এবং কোলোসো (এস্তাদিও মার্সেলো বিয়েলসা) একই ম্যাচে খেলছে এবং সারা বিশ্ব সেটি দেখছে! যারা স্পন্সর করবে…… আবেগিক ব্যাপার ছাড়াও সেটি অর্থনৈতিকভাবে একটি পরিবর্তন আনবে। এটি ঋণ পরিশোধ করতে অনেক সাহায্য করবে।’

মেসি ইতিপূর্বে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তিনি শুধু একটি মাত্র ক্লাবের জন্যই বার্সেলোনা ছাড়তে পারেন। আর সেটি হচ্ছে নিউওয়েলস! তাই, আশায় বুক বাঁধতেই পারে মেসির বাল্যকালের ক্লাব। আর সেই ক্লাবের এমন আজীবন সমর্থকের কাছে চিরপ্রতিপক্ষের জার্সিতে অটোগ্রাফ চাইলে ভক্তরা ব্যর্থ হবেন, সেটিও বলা বাহুল্য।