‘গনতন্ত্র ও ভোটাাধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে না’

বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনকে বেগবান করার ওপর গরুত্বারোপ করে বলেছেন, যতক্ষণ গনতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা না হবে ততক্ষণ মানবাধিকার, সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে না। তাই সাংবাদিকসহ সকল শ্রেণীর পেশার মানুষকে যে কোন ত্যাগের বিনিময়ে গনতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

শুক্রবার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক ইউনিয়ান যশোর এ দ্বিবার্ষিকি সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, সিনিয়ার সহসভাপতি নূরুল আমিন রোকন, যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সম্পাদক এস এম তৌহিদুর রহমান, বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য ফজলে রাব্বি ডলার ও সাদিকুল ইসলাম স্বপন, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান কবির ও তৌহিদ জামান, কোষাধ্যক্ষ আকরামুজ্জামান প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এম আইউব।

প্রধান অতিথি রুহুল আমিন আরও বলেন, সারাদেশে খুন,গুমের মচ্ছব চলছে। ঘরে বাইরে কোথাও মানুষের নিরাপত্তা নেই। লাশের মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। এ সরকারের সময় ৩৩ জন সাংবাদিক খুন হয়েচে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাগর রুনির খুনিদেও আটকের কথা বলা হলেও ৫ বছরেও কেউ আটক হয়নি। হামলা, মামলা নির্যাতন নিপীড়ন সব সীমা ছাড়িয়েছে। মানুষ কথা বলতে পারছে না। নিরাপত্তা সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমে কোমল মতি শিক্ষার্থীরাও নিরাপত্তা পেল না। এ সরকালের আমলের কারোর জানমালের নিরাপত্তা নেই। আশা করাও ঠিক না। কারণ, জনগণের রায়ে সরকার ক্ষমতায় আসেনি। তাই যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, সংবাদপত্র,সাংবাদিকতা তথা গণমানুরেষর স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হলে, ভোটাধিকার ও গনতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশে গণতন্ত্র না থাকলে মানবাধিকার ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকে না।

বিএফইউজের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ বলেন, এ সরকারের আমলে সাংবাদিকের সামান্য তম নিরাপত্তা নেই। বহু পুরনো ঘটনার বিচার হলেও সাংবাদিক হত্যার বিচার হচ্ছে না। সরকারের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে নতুন নতুন নাটক সৃষ্ঠি করা হচ্ছে। গনতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা না হলে সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে না।