আ.লীগ অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু নির্বাচন চায়: বার্নিকাট

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য সংসদ নির্বাচন চায় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ীয় রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট।

বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত।

বার্নিকাট বলেন, তার দেশ বরাবর বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এবারও তার ব্যতিক্রম কোনো অবস্থান নেই।

পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ও বক্তব্য নিয়ে বরাবর সরকার সমালোচনা করে আসছে। বিশেষ করে ২০১৪ সালের দশম সংকট নির্বাচন নিয়ে সরকার ও যু্ক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ছিল সব সময় বিপরীত মেরুতে।

যুক্তরাষ্ট্র সে সময় সব দলের অংশগ্রহণে জাতীয় নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান নেয়। তবে সরকার সংবিধানের বাইরে গিয়ে বিএনপির দাবি মানতে রাজি ছিল না। যার ফলশ্রুতিতে বিএনপি-জামায়াত জোট ভোট বর্জন করে।

আবার গত মে এবং জুনে খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটের পরিবেশের সমালোচনা করে উদ্বেগ জানিয়েছিলেন বার্নিকাট। আর সরকার তার এই বক্তব্যকে ভালো চোখে দেখেনি আর বার্নিকাটকে তার দেশের ভোট নিয়ে ভাবতে বলেন একাধিক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন কর্মকর্তা।

এরই মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে, অক্টোবরে হবে তফসিল আর ডিসেম্বরের শেষে হবে ভোট।

আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিন্দ্বন্দ্বী বিএনপি-জামায়াত জোট এবার ভোটে আসবে কি না সেটি নিশ্চিত হয়। আর সরকার গত বছর তাদেরকে ভোটে আনতে নানাভাবে চেষ্টা করলেও এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়ে দিয়েছেন, ভোটে আসতে বিএনপিকে কোনো বাধাও দেয়া হবে না, আবার দাওয়াতও করা হবে না।

বার্নিকাট বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়, এমন একটি অবাধ সুষ্ঠু এবং সব দলের অংশগ্রহণে একটি জাতীয় নির্বাচন দেখতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমি মনে করি বাংলাদেশ সরকারও এমন নির্বাচন চায়।’

আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময় বার্নিকাট বাংলাদেশে তার দেশের দায়িত্বে থাকবেন না। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে তার কাছ থেকে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নেবেন আর্ল রবার্ট মিলার। গত ১৭ জুলাই আফ্রিকার বতসোয়ানায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় দূত হিসেবে নিয়োগ দেয় মার্কিন কংগ্রেস।

রোহিঙ্গা ইস্যুতেও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চান গণমাধ্যমকর্মীরা। জবাবে বার্নিকাট বলেন, ‘জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের আলোচনায় রোহিঙ্গা সংকটকে গুরুত্ব দেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন ও নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতির পদে দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’

‘যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আরও জোরালো ভূমিকা নেবে।’