রোহিঙ্গা গণহত্যা ইস্যু জাতিসংঘে তুলবেন বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর গণহত্যার অভিযোগ জাতিসংঘে তুলবেন বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট। একই সঙ্গে এর সঙ্গে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবিও জানাবেন তিনি। এ মাসেই বসছে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন। সেই অধিবেশনেই এ বিষয়টি উত্থাপন করবেন জেরেমি হান্ট। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের সঙ্গে ও নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সুচির সঙ্গে সাক্ষাত করতে মিয়ানমার যেতে চেয়েছিলেন।

এমপিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যে আকারেই হোক, যেখানেই হোক জাতি নিধনকারীরা কখনোই শাস্তির মবাইরে যেতে পারে না। আর এই নিন্দনীয় অপরাধের জন্য যারা দায়ী তাদেরকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।

গতমাসে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন গণহত্যার জন্য মিয়ানমারের সেনাপ্রধান ও সেনাবাহিনীর শীর্ষ ৫ জন কমান্ডারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক তদন্ত ও বিচার দাবি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত নেতারা এসব অভিযোগ জোর দিয়ে অস্বীকার করেছে। কিন্তু জেরেমি হান্ট স্বীকার করেছেন, এসব দোষী ব্যক্তিদের বিচারের কাঠগড়ায় আনা হবে একটি লম্বা ও কঠিন কাজ। এক্ষেত্রে তাদেরকে যদি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মুখোমুখি করতে হয় তাহলে সেক্ষেত্রে দাবি আসতে হবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ থেকে।

জেরেমি হান্ট বলেন, কিন্তু এই মুহূর্তে এমন বিচারের জন্য নিরাপত্তা পরিষদ থেকে সবাই একমত হবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। তবু আমরা অপরাধীদের বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত আমাদের অবস্থান থেকে সরে যাবো না। তাই এ মাসের শেষের দিকে যখন জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন শুরু হবে তখন আমি মন্ত্রীদের একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক আহ্বান করার ইচ্ছা রাখি।

উল্লেখ্য, জেরেমি হান্ট বৃটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হন জুলাই মাসে। তিনি বলেছেন, তিনি যদি নিজে মিয়ানমার সফর করতেন তাহলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে শক্তিশালী একটি কেস করতে সম্মত হতেন তিনি। তার ভাষায়, যদি আমি মাঠ পর্যায়ের পরিস্থিতি দেখতে পেতাম। সাক্ষাত করতে পারতাম মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের সঙ্গে। অং সান সুচির সঙ্গে। তাহলে এটা আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতো। তিনি আরো বলেন, এক্ষেত্রে একটি সীমারেখা অতিক্রম করা হয়েছে।