অবশেষে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ১০৯ জন মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নপূরণ হচ্ছে। ২ কোটি ২০ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৩ তলা বিশিষ্ট ‘মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন’টির নির্মাণের মাধ্যমে তাঁদের দীর্ঘদিনের লালিত প্রত্যাশা পূরণ হতে চলেছে। ভবটির নির্মাণ কাজের খবরে ঝিকরগাছা উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার দারুণ উচ্ছুসিত-আনন্দিত বলে জানিয়েছেন কমান্ডার মো. ওলিয়ার রহমান ও ডেপুটি কমান্ডার মো. শাহাজান আলী।
তাঁরা বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পেরিয়ে গেলেও আমরা মুক্তিযোদ্ধাগণ বিভিন্ন সময়ে চরম অবহেলিত ছিলাম। জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ সরকারি ভবনে আমাদের কর্মকান্ড এ পর্যন্ত চালিয়ে এসেছি।
তাঁরা আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই ভবন নির্মাণের মধ্যে দিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করেছেন। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। ভবন বরাদ্দ পাওয়ার ব্যাপারে মাননীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও অসামান্য অবদান রেখেছেন এজন্য আমরা তাঁর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদের ভূমিকা বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য বলে আমরা মনে করি।
নির্মাণাধীন ভবনটিতে আধুনিক সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা থাকছে বলে জানিয়েছেন নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঢালী কনস্ট্রাকশন লিমিটেড ভবনটির নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। ভবনটির প্রথম ও দ্বিতীয়তলায় ৬টি করে ১২টি শপিং সেন্টার ও তৃতীয়তলায় প্রশস্থ সেমিনার কক্ষ, মুক্তিযোদ্ধা মিউজিয়াম ছাড়াও কমান্ডার ও ডেপুটিকমান্ডারের অফিস কক্ষ থাকবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শ্যামল কুমার বসু জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের নিজস্ব ভবন নির্মাণে বর্তমান সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। আগামী ২/৩ মাসের মধ্যে নির্মাণকাজ সমাপ্ত করতে পারবো বলে আশা করছি।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ও মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বর্তমান সরকার যেমন আন্তরিকতা দেখিয়েছেন বিগত কোনো সরকার তা করেনি। মুক্তিযোদ্ধারা সবসময় ছিলেন অবহেলিত ও বঞ্চিত। ঝিকরগাছার বীরমুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের দাবি একটি ভবন নির্মাণ অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা হয়নি। ঝিকরগাছা-চৌগাছা আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা নির্মাণাধীন ভবনটি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে হস্তান্তর করবো বলে আশা করছি।