যশোরে ‘লাশ দাফনের’ ১১দিন পর সেই সাথীকে জীবিত উদ্ধার

যশোরের চৌগাছার সাথী খাতুন নামে এক গৃহবধূর ‘পলিথিনে মোড়ানো লাশ’ উদ্ধার ও দাফনের ১১ দিন পর জীবিত উদ্ধার করেছে যশোর কোতয়ালী থানা পুলিশ। পরকীয়া করে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে থাকা এই গৃহবধূকে রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে সদর উপজেলার ইছালি এলাকার জলকর গ্রামের মিজানুর রহমানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সাথী খাতুন চৌগাছার নয়ড়া গ্রামের আমজেদ আলীর মেয়ে এবং একই উপজেলা চাঁদপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার স্ত্রী। তাদের এহসান নামে ছয় বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

স্বামী সংসার ফেলে গত ১৪ জুলাই তিনি প্রেমিক চাঁদপাড়া গ্রামের (স্বামীর প্রতিবেশী) মান্নুর সাথে পালিয়ে জলকর গ্রামে অবস্থান করছিলেন।

যশোর কোতোয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আমিরুজ্জামান জানান, গত ১৪ জুলাই সাথী বাইরে কাজে যাচ্ছি বিকালে ফিরে আসবো বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে তার কোন সন্ধান ছিল না। ২৯ আগস্ট রাতে যশোরে সরকারি সিটি কলেজ এলাকা থেকে পলিথিন মোড়ানো এক তরুণীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই মরদেহের মুখমন্ডল চেনা যাচ্ছিল না। তার বয়স ২৪ থেকে ২৮ হবে হয়তো। লাশের পরনে একটি গোলাপী রং এর পেডিকোট এবং সাদা রং এর একটি ব্রা ছিল। তার ধারনা ৩/৪ দিন হবে মরদেহটি ব্যাগের মধ্যে পুরে ডোবার পানিতে ফেলে রাখা হয়েছে। লাশ পচে যাওয়ায় দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। এলাকার লোকজন দেখে চিনতে পারেন নি। পরদিন ৩০ আগস্ট চৌগাছার নয়ড়া গ্রামের আমজেদ আলী লাশটি তার মেয়ের সাখীর বলে সনাক্ত করে। এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়। এ হত্যা রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত করতে থাকে। এরই মধ্যে গোপন সূত্রে জানতে পারে সাথী হত্যাকান্ডের শিকার হয়নি। তিনি জীবিত আছেন এবং প্রেমিক মান্নুর ধর্ম পিতা সদরের ইছালি এলাকার জলকার গ্রামের মিজানুর রহমানের বাড়ি অবস্থা করছেন।

এসআই আমিরুজ্জামান আর জানান, সাথীকে উদ্ধারে ভোর রাতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। পরে তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদে প্রকৃত ঘটনা খুলে বলে। সাথী পুলিশকে জানিয়েছে পুলিশ ও এলাকাবাসীর চোখ ফাঁকি দিতে এই হত্যার নাটক সাজানো হয়।