আইনের খসড়া পরীক্ষার দায়িত্বে ৪ প্রকৌশলী মন্ত্রী

‘বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল আইন-২০১৮’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন না দিয়ে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য চারজন প্রকৌশলী মন্ত্রীকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠক এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘প্রকৌশল গবেষণার জন্য যেহেতু প্রতিষ্ঠানটা হবে সেজন্য আইনের খসড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য চারজন প্রকৌশলী মন্ত্রীর সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এছাড়া কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।

শফিউল আলম বলেন, ‘যেহেতু চারজনই প্রকৌশলী তাই উনারা নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এই সংস্থার কীভাবে উন্নয়ন করা যায় সে বিষয়গুলো দেখবেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এটাকে চূড়ান্ত করবেন।’

কয়দিনের মধ্যে মন্ত্রীরা এই আইনের খসড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন তা বেঁধে দেয়া হয়নি বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

শিশু একাডেমি আইন চূড়ান্ত অনুমোদন

এদিকে আজকের বৈঠকে ‘বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আইন-২০১৮’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘১৯৭৬ সালের অধ্যাদেশ দিয়ে শিশু একাডেমি পরিচালতি হচ্ছিলো। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে সামরিক শাসনামলে প্রণীত আইন ও অধ্যাদেশগুলো নতুন করে বাংলায় রূপান্তর করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘নতুন আইনে ১৯ সদস্যের ব্যবস্থাপনা বোর্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে। একাডেমির নির্বাহী প্রধানের পদকে পরিচালক থেকে উন্নীত করে মহাপরিচালক করা হচ্ছে।’

শফিউল আলম বলেন, ‘এতদিন শিশু একাডেমির চেয়ারম্যানকে সরকার নির্দিষ্ট কিছু শর্তে নিয়োগ দিতো। নতুন আইন পাস হলে প্রথিতযশা শিশু সাহিত্যিক, স্বাধীনতা পদক বা একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ বা সাহিত্যেকদের একজনকে চেয়ারম্যান করা যাবে।’