যশোরে কাঠমিস্ত্রি আনোয়ারুল হত্যা মামলার চার্জশীট দাখিল

যশোর সদর উপজেলার তপসীডাঙ্গা গ্রামের কাঠমিস্ত্রি আনোয়ারুল ইসলাম আনার হত্যা মামলার চার্জশীট জমা দিয়েছেন পুলিশ। মঙ্গলবার মামলার তদন্তকর্মকর্তা সিআইডি পুলিশ অফিসার আব্দুল মিন্টু হোসেন পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।

অভিযুক্তরা হচ্ছেন- সদর উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান(১৭), মন্ডলগাতী গ্রামের রফিক দেওয়ানের ছেলে কাইয়ুম(২৫), মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ গ্রামের সদর আলীর ছেলে কালাচান ওরফে রাজু, কচে বাগেরহাট গ্রামের শাহিনের ছেলে ফিরোজ ও মণিরামপুর সুন্ডলকাটি গ্রামের মোজাম সরদারের ছেলে আলামিন।এদের মধ্যে ফিরোজ ও আলামিন পলাতক রয়েছে।

২০১৭ সালের ৬ সেপ্টোম্বর যশোর শহরতলীর কৃষ্ণবাটি এলাকার মুক্তেশ্বরী নদীর কচুরিপানার মধ্যে থেকে কাঠমিস্ত্রি আনোয়ারুল ইসলাম আনারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের পরপরই নিহতের মামাতো ভাই সদর উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামের শফিকুল ইসলাম চক্করের ছেলে মিজানুর রহমান মিজানকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে মিজান হত্যার কথা স্বীকার করে। এসময় হত্যা কারণ ও ক’জন মিলে এ অপকর্ম করে সেবিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয় পুলিশকে।

তিনি জানান, তার পিতার কাছে ফুফা মোহাম্মদ আলম হোসেন ৪০ হাজার টাকা পেত। ওই টাকার জন্য কিছুদিন আগে আনার তার পিতা চক্করকে লাঞ্ছিত করে। পিতাকে করা এ অপমানের প্রতিশোধ নিতে আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। আর ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য মিজান চার বন্ধুর সহযোগিতা নেয়। এরই অংশ হিসেবে কৌশলে আনারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় মিজান। মুক্তেশ্বরী নদীর পাড়ে মহাসিন মাস্টারের ফার্মের কাছে একটি আমগাছে ৫ জনে আনারের পরণের প্যান্টের কোমরে থাকা বেল্ট তার গলায় পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর লাশ মুক্তেশ্বরী নদীর মধ্যে কচুরিপানার মধ্যে রেখে চলে আসে তারা।
প্রথমে মামলাটি তদন্ত করেন কোতোয়ালী থানার এস আই শ্রী শুকুমার কুন্ডু।পরবর্তীতে সিআইডি পুলিশ তদন্ত শেষ করে মঙ্গলবার আদালতে চার্জশটি জমাদেন।