খালেদার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কারাগারে মেডিকেল বোর্ড

দুর্নীতি মামলায় সাজা নিয়ে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে পুরনো ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের কারাগারে পৌছেছেন পাঁচ সদস্যের চিকিৎসক দল।

শনিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে প্রধান ফটক দিয়ে তারা কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন। গত সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে পরিত্যক্ত এই কারাগারেই একমাত্র বন্দি হিসেবে রয়েছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল জলিল চৌধুরীকে প্রধান করে গঠিত পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন, কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক হারিসুল হক, অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু জাফর চৌধুরী বীরু, চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তারিক রেজা আলী ও ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বদরুন্নেসা আহমেদ।

এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক দ্বারা তাকে চিকিৎসার দাবি জানান বিএনপি। তবে তাদের এমন আবেদনে সাড়া দেয়নি সরকার।

গত ৯ সেপ্টেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে দেখা করে খালেদা জিয়ার পছন্দ অনুযায়ী রাজধানীর কোনো বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর অনুরোধ জানায়। এরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সংবাদ সম্মেলনে জানান, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড হবে।

৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসনকে পুরোনো ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়ার পর থেকে তিনি অন্য কোনো মামলায় আর হাজিরা দেননি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে। এজন্য জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারে কারাগারের ভেতরের বসে আদালত।

গত ৪ সেপ্টেম্বর কারাগারের ভেতর আদালতে হাজির হয়ে খালেদা জিয়া তার অসুস্থতার কথা জানান। বিচারকের উদ্দেশে খালেদা বলেন, ‘আমার হাতের অবস্থা ভালো না। ডাক্তার বলছে, পা ঝুলিয়ে রাখলে ফুলে যাবে। রিপোর্ট দেখলে বুঝতেন আমার শরীরের অবস্থা কী। সুতরাং যা ইচ্ছা সাজা দিন, আমি আর আসতে পারব না।’

সব শেষ কারা কর্তৃপক্ষের চিঠি পেয়ে উল্লেখিত চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুন।