মানুষ সব সময় তামিমকে মনে রাখবে: মাশরাফী

শ্রীলঙ্কাকে রেকর্ড ১৩৭ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশ। দেশের বাইরে যা কিনা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। শুরুতে দ্রুত উইকেট হারালেও মুশফিকুর রহীমেনর ১৪৪ রানে বড় পুঁজি পায় বাংলাদেশ। ম্যাচ সেরা মুশফিকের পাশাপাশি আরো একজন এ ম্যাচে ‘আসল’ নায়কের মর্যাদা পাচ্ছেন। যিনি তামিম ইকবাল। আহত হয়ে মাঠ ছেড়েও যিনি ব্যান্ডেজ হাতে মাঠে নামেন দলের প্রয়োজনে। অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোত্তর্জা ম্যাচ শেষে বলেন, মানুষ সব সময় তামিমকে মনে রাখবে।

tamim iqbalশনিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৬১ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৫.২ ওভারে শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে যায় ১২৪ রানে।

এদিন ১ রানে ২ উইকেট হারানোর পরও মুশফিক ও মোহাম্মদ মিথুনের দৃঢ়তায় প্রাথমিক বিপর্যয় পাড়ি দেয় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ১৫০ বলে ৪ ছক্কা ও ১১ চারে ১৪৪ রান করেন আসল নায়ক মুশফিক। একেবারেই আড়ালে পড়ে থাকছেন ৬৩ রান করা মিথুন। যিনি কিনা এ ম্যাচেই পেয়েছেন প্রথম আন্তর্জাতিক ফিফটি।

কিন্তু তামিম ইকবাল আড়ালে থাকেন কী করে? ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। সুরঙ্গা লাকমলের লাফিয়ে উঠা বল পুল করতে গিয়ে ব্যাটে বলে করতে পারেননি। এ সময় বলটি তার কবজিতে লাগে। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছেড়ে যেতে হয় তাকে হাসপাতালে।

কিন্তু বাংলাদেশ ৪৬.৫ ওভারে ২২৯ রানে ৯ উইকেট হারালো, তখন ব্যান্ডেজ হাতে ব্যাট হাতে নেমে পড়লেন তামিম। তাকে সঙ্গে নিয়ে শেষ পর্যন্ত মুশফিক যোগ করেন ৩২ রান। তামিমের এ অবদানকে কীভাবেই বা ব্যাখ্যা করা যায়?

ম্যাচ শেষে ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজার প্রশ্নে অধিনায়ক মাশরাফীর উত্তর, ‘তামিমকে নিয়ে আমি একটি কথাই বলব। তামিমকে মানুষ সব সময় মনে রাখবে।’

সত্যিই তো। চোট পেয়ে যার এশিয়া কাপই শেষ হয়ে গেছে, সেই তামিম যা করলেন তা কীভাবে ভুলবে মানুষ? শেষ পর্যন্ত এদিন তামিম ৪ বলে ২ রান করে অপরাজিত থেকে যান। দ্বিতীয়বার ব্যাট হাতে নেমে একটি বলই খেলেন তামিম। লাকমলের বলটি একহাতে খেলেন দারুণভাবে।